খেলা
টেস্টে ব্যর্থতার পরও ব্যাটারদের নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মাহমুদুল্লাহ
স্পোর্টস ডেস্ক
(১ বছর আগে) ২ জুলাই ২০২২, শনিবার, ১২:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:১৫ অপরাহ্ন
ব্যাটিং ব্যর্থতায় টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির লড়াইয়ে ব্যাটারদের নিয়ে আশাবাদী অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
দীর্ঘদিন ধরে টেস্ট খেলুড়ে দলের তকমা নিয়ে ঘুরলেও সাদা পোশাকে যুতসই নয় বাংলাদেশের অবস্থা। সাম্প্রতিককালে ব্যাটারদের শ্রীহীন পারফরম্যান্সই চোখে পড়ছে বেশি। টেস্টে হতাশাব্যঞ্জক হলেও সীমিত ওভারে টাইগার ব্যাটাররা ততোটাও খারাপ নয়। আর এটিই মাহমুদুল্লাহর আত্মবিশ্বাসের কারণ।
ডমিনিকায় টি-টোয়েন্টি সিরিজের লড়াইয়ে নামার আগে সংবাদসম্মেলনে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘সাকিব, লিটন আছে, আমি আছি। আফিফ, সোহান, মোসাদ্দেক রয়েছে। শেখ মেহেদী আছে। আমি মনে করি ব্যাটিংয়ের গভীরতা ভালো। আমাদের বোলিং আক্রমণও খুব ভালো। বৈচিত্র্য আছে।
টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে বাংলাদেশের হেড টু হেড পরিসংখ্যানও স্বস্তি দেবে মাহমুদুল্লাহদের। এখন পর্যন্ত দু’দল মুখোমুখি হয়েছে ১৩ বার। তাতে উইন্ডিজদের ৭ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৫ ম্যাচে। সবশেষ ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় টাইগাররা। তাছাড়া ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কে বাংলাদেশের অতীত স্মৃতি সুখকরই। ২০০৯ সালে এখানে ওয়ানডে সিরিজে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। সেই দলে ছিলেন সাকিব ও মাহমুদুল্লাহ। তবে অতীতের সৃখস্মৃতিকে পুঁজি করে মাঠে নামতে চাননা মাহমুদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘এটা অনেক আগের কথা। এখন হয়তো এটা আমাদের জন্য নতুন ভেন্যু। উইকেট ভিন্নও হতে পারে। উইকেট ভালো হলে তো ভালোই। মানিয়ে নেয়ার জন্য আমাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
মাহমুদুল্লাহর মতে, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ভিন্ন ধাঁচের ক্রিকেট। ক্যারিবিয়ানে আসন্ন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারার কথাও জানিয়ে রাখলেন টাইগার অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘সাদা বল আর লাল বল আলাদা। এখানে ভিন্ন ফরম্যাটের খেলা। টেস্ট সিরিজকে এখন আমরা সামনে আনছি না, টি-টোয়েন্টিতেই মনোযোগ রাখার চেষ্টা করছি। একইসঙ্গে আমরা বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাঠে মোকাবিলা করতে মুখিয়ে আছি।’
অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। মহাযজ্ঞে নামার আগে প্রস্তুতি নেয়ার পর্যাপ্ত সুযোগ টাইগারদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর আগস্টে এশিয়া কাপে খেলবে বাংলাদেশ। এরপর বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে নিউজিল্যান্ডে খেলবে ত্রিদেশীয় সিরিজ।