বিশ্বজমিন
ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ৩০ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবার, ২:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:২১ অপরাহ্ন
ফিলিপাইনের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন সাবেক স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসের ছেলে ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। তার পিতা ফার্দিনান্দ মার্কোস গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন ৩৬ বছর আগে। এরপর নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন। বৃহস্পতিবার তার ছেলে ফিলিপাইনের রাজনীতিতে বিস্ময়করভাবে ফিরে এলেন শপথ গ্রহণের মাধ্যমে। এ খবর দিয়ে অনলাইন আল জাজিরা বলছে, ৬৪ বছর বয়সী ফার্দিনান্দ মার্কোস ‘বংবং’ নামেই বেশি পরিচিত। গত মাসে সেখানে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরলভাবে ভূমিধস বিজয় পান তিনি। তার পরিবারের বিরুদ্ধে সমালোচকরা যেসব অভিযোগ উত্থাপন করে আসছিলেন বছরের পর বছর ধরে, তার এই বিজয়কে দেখা হয় তার ওপর হোয়াইটওয়াশ হিসেবে।
বৃহস্পতিবার তিনি শপথ নিয়ে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুতের্তের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন। এরপর তিনি যে বক্তব্য রেখেছেন তাতে ঐক্যের প্রতিধ্বনি শোনা গেছে। দেশকে সবার সুবিধার জন্য সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফিলিপাইনের গণতান্ত্রিক ইতিহাসেব সবচেয়ে বড় নির্বাচনী ম্যান্ডেট দেয়ার জন্য তিনি এদিন জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
শপথ নিয়ে ফাদিনান্দ মার্কোস জুনিয়র তার প্রয়াত পিতার শাসনের ভূয়সি প্রশংসা করেছেন। বলেছেন, তার প্রেসিডেন্সির ক্ষমতার সময় অতীতের মতো হবে না। ভবিষ্যত হবে আরও উন্নত। উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সাল থেকে কমপক্ষে দুই দশক শাসন করেন তার পিতা ফার্দিনান্দ মার্কোস। এর অর্ধেক সময় তিনি দেশ শাসন করেছেন সামরিক শাসনের অধীনে। এর মধ্য দিয়ে তিনি ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার সুযোগ পান। কিন্তু ১৯৮৬ সালে পিপল পাওয়ার রেভ্যুলুশনের সময়ে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন এবং পরিবার নির্বাসনে চলে যায়। তার সময়কালে বিরোধী হাজার হাজার মানুষকে হয়তো জেলে দেয়া হয়েছে না হয় হত্যা করা হয়েছে, গুম করা হয়েছে। আর পরিবারটির নাম পরিণত হয়েছে আত্মীয়করণ, অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি এবং রাষ্ট্রীয় শত শত কোটি ডলার অদৃশ্য করে দেয়ার আরেক নাম। তবে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে মার্কোস পরিবার।