বিশ্বজমিন
পিপাসায় লিবিয়ার মরুভূমিতে ২০ অভিবাসীর মৃত্যু, ভূমধ্যসাগরে ৩০ আরোহী নিয়ে বোটডুবি
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ৩০ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবার, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:৪৪ অপরাহ্ন
পানির পিপাসায় লিবিয়ার মরুভূমিতে মারা গেছেন কমপক্ষে ২০ অভিবাসী। অন্যদিকে ভূমধ্যসাগরে পৃথক ঘটনায় ৩০ অভিবাসী আরোহীকে নিয়ে ডুবে গেছে রাবারের বোট। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডয়চে ভেলে। এতে বলা হয়েছে, আফ্রিকার দেশ চাদ সীমান্তের কাছে একটি মরুভূমি থেকে লিবিয়ার উদ্ধারকর্মীরা ২০ অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় কুফরা থেকে প্রায় ৩২০ কিলোমিটার দূরে একটি কালো পিকআপের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল এসব মৃতদেহ। ডিস্ট্রিক্ট এম্বুলেন্স সার্ভিস এ তথ্য দিয়েছে। উদ্ধারকারীরা বলেছেন, মরুভূমির ভিতর ওই পিকআপটি নষ্ট হয়ে যায়। এ জন্য পানির পিপাসায় ভুগে মারা যান ওই ২০ অভিবাসী। এক বিবৃতিতে উদ্ধারকারীরা বলেছেন, ওই পিকআপটি চাদ থেকে ছেড়ে যায় এবং লিবিয়ার প্রায় ১২০ কিলোমিটারের মধ্যে ঢুকে পড়ে। ওই একই মরুভূমির ভিতর দিয়ে যাচ্ছিলেন আরেক ট্রাকচালক।
ওদিকে আলাদা এক ঘটনায় লিবিয়া উপকূলের কাছে ৩০ আরোহীকে নিয়ে রাবারের তৈরি একটি বোট ডুবে গেছে। এর আরোহীদের মধ্যে আছে নারী ও শিশু। বুধবার ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ) বলেছে, ভয়াবহ ভূমধ্যসাগরের রুটে ডুবে গেছে ওই বোট। এই সংগঠনের উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছতে সক্ষম হয়। তখন বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের মধ্যে আছেন ৫ জন নারী ও আটটি শিশু। ধারণা করা হচ্ছে তারা মারা গেছেন।
মিসিং মাইগ্রেন্টস প্রজেক্টের তথ্যমতে, ২০১৪ সাল থেকে শুধু ভূমধ্যসাগরে এভারে ডুবে মারা গেছেন অথবা অদৃশ্য হয়েছেন কমপক্ষে ২৪ হাজার ২৩৪ জন মানুষ। এই উত্তাল সমুদ্রপথই অভিবাসীদের সামনে একমাত্র চ্যালেঞ্জ নয়। মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন এবং জাতিসংঘ ধর্ষণ ও নির্যাতন সহ নানাবিধ নির্যাতনের বিষয় প্রমাণ্য আকারে উপস্থাপন করেছে। লিবিয়ায় বন্দিদশায় যেসব অভিবাসীকে রাখা হয়, তাদের ওপর চালানো হয় এই নির্যাতন। জাতিসংঘের কমিশনপ্রাপ্ত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে রিপোর্ট উপস্থাপন করবে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে।