অর্থ-বাণিজ্য
দেশের ব্যবসায়ীরা কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা চান না: এফবিসিসিআই
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১ সপ্তাহ আগে) ১৯ নভেম্বর ২০২৩, রবিবার, ৯:৪৭ অপরাহ্ন

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখা কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখা কঠিন হবে। অর্থনীতিকে সচল রাখার স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে সহিংস কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতে হবে। দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা চান না।
রোববার রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত এফবিসিসিআই কার্যালয়ে দেশের বিরাজমান বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় দেশের শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, পণ্য উৎপাদন, রপ্তানি এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়। এতে অংশ নিয়ে- হরতাল, অবরোধ, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরসহ যেকোনো সহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থানের কথা জানান বিভিন্ন জেলা চেম্বারের নেতারা।
যেকোনো সহিংস কর্মসূচিতে সবার আগে ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা, এমন দাবি করে সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি খায়রুল হুদা চপল।
তিনি বলেন, আমরা হরতাল, অবরোধ চাই না। চলমান ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের পর আবারও যদি নতুন করে হরতাল বা অবরোধ দেয়া হলে, এর প্রতিবাদে এফবিসিসিআইর নেতৃত্বে সারা দেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির উদ্যোগ নেয়া হবে।
গাজীপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিছু মহল ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির পথ বেছে নিয়েছে। যা অর্থনীতির জন্য বড় হুমকি। সারা দেশের জেলা চেম্বারগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এফবিসিসিআইকে এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
অতীতে সকল সংকটে ব্যবসায়ীরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেশের অর্থনীতিকে আজ একটি শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে। এবারও ব্যবসায়ী ঐক্যবদ্ধ হয়ে হয়ে চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে বলে জানান এফবিসিসিআই’র আরেক সহ-সভাপতি মো. মুনির হোসেন।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার টাকার একটি পটেটো চিপসের চালান আমদানি করতে বিভিন্ন ল্যাব পরীক্ষাতেই ব্যয় হয় আড়াই লাখ টাকা; সময় লাগে আট থেকে নয় দিন। বন্দরের ফি হিসেবে গুণতে হয় আরও এক লাখ টাকা।
মূল প্রবন্ধে বিটিএফ এর সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজর এ এ এম আমিনুল এহসান খান বলেন, সব মিলিয়ে দেখা যায় পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার টাকার এক চালান পটেটো চিপস আমদানিকারকের গুদামে যেতে যেতে দাম পড়ে যায় ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা; যা প্রকৃত মূল্যের চেয়ে ৬২ শতাংশ বেশি।
সেমিনারে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন
অর্থ-বাণিজ্য থেকে আরও পড়ুন
অর্থ-বাণিজ্য সর্বাধিক পঠিত
গেজেট প্রকাশ/ সর্বনিম্ন সাড়ে ১২ হাজার; সর্বোচ্চ ১৪,৭৫০ টাকা পাবেন পোশাক শ্রমিকরা

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]