অর্থ-বাণিজ্য
আকু বিল পরিশোধের পর কমলো রিজার্ভ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(৭ ঘন্টা আগে) ৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ৭:৩৫ অপরাহ্ন
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) মে ও জুন মাসের আমদানি বিলের দায় পরিশোধের পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে। আকুতে রেকর্ড ২০১ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে মোট রিজার্ভ সোমবার ২৯ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৯৫২ কোটি ডলারের নেমেছে, যা গত বুধবার ছিল ৩১ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ১৭১ কোটি ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ২ হাজার ৪৪৫ কোটি ডলারে নেমেছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আমদানি বিলের দায়ের বিপরীতে আকুতে ২০১ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে।
রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণের কারণে জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ৩১.৭২ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল। গত ২৮ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। সর্বশেষ ২০২৩ সালের মার্চের শুরুতে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল। এরপর ওই মাসের ১৫ তারিখ সর্বোচ্চ ৩১.২৯ বিলিয়ন ডলার হয়। এছাড়া সব সময়ই ৩১ বিলিয়নের নিচে ছিল।
গ্রস রিজার্ভ বৃদ্ধির পাশাপাশি আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ হয় ২৬ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি মেনে হিসাব প্রকাশের পর থেকে যা ছিলো সর্বোচ্চ। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে গ্রস রিজার্ভের পাশাপাশি বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আকু হলো এশিয়ার কয়েকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যকার একটি আন্ত-আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তিব্যবস্থা। এর মাধ্যমে এশিয়ার ৯টি দেশের মধ্যে যেসব আমদানি-রপ্তানি হয়, তার মূল্য প্রতি দুই মাস পরপর নিষ্পত্তি করা হয়। অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানিসংক্রান্ত লেনদেন তাৎক্ষণিকভাবে সম্পন্ন হয়।
আকুর সদস্য দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, ভুটান ও মালদ্বীপ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রিজার্ভ বৃদ্ধির মূল কারণ অর্থ পাচারে কঠোর নিয়ন্ত্রণ। হুন্ডি প্রবণতা কমে যাওয়ায় গত অর্থবছরের প্রথমবারের মতো রেমিট্যান্স ৩০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয় এসেছে ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের তুলনায়া যা প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি।
আবার আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ বিভিন্ন উৎস থেকে সরকার ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ কম সুদের ঋণ পেয়েছে। সব মিলিয়ে ডলার বাজার ১২২ থেকে ১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যা ভূমিকা রাখছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।