বিশ্বজমিন
ক্রিপ্টোকারেন্সি জালিয়াতি, লন্ডনে একজন হারালেন ৩ কোটি রুপি
মানবজমিন ডেস্ক
(৬ মাস আগে) ১১ অক্টোবর ২০২৩, বুধবার, ১:৫৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
ক্রিপ্টোকারেন্সি জালিয়াতির শিকার হয়ে বৃটেনের একটি বিনিয়োগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ম্যানেজার হারিয়েছেন সারা জীবনের সঞ্চয়। সাইবার অপরাধীদের শিকারে পরিণত হয়ে তিনি হারিয়েছেন ৩ কোটি রুপি। তাকে ম্যাথিউ থমাস ছদ্মনামে প্রকাশ করেছে অনলাইন দ্য গার্ডিয়ান।
এতে বলা হয়েছে, তিনি একজন সিনিয়র ম্যানেজার হওয়া সত্ত্বেও ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ে অপরাধীদের শিকারে পরিণত হয়েছেন। ঘটনার শুরু জানুয়ারিতে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি ক্রিপ্টো বাণিজ্যবিষয়ক অ্যাপের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন তার এক বন্ধু। দুর্দশার শুরু সেখান থেকেই। জুলাইয়ে এসে দেখা যায় তিনি £:৩,০০,০০০ হারিয়েছেন। এটা তার মর্টগেজ এবং £:২০,০০০ ওয়ার্ক লোনের বিপরীতে ঋণ করা অর্থের একটি অংশ।
স্ক্যামার বা সাইবার অপরাধীরা আস্তে আস্তে তাদের কৌশল দ্রুত করতে থাকে। তারা ম্যাথিউ থমাসকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) পরিচালিত ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসায় যুক্ত হতে প্রলুব্ধ করে। প্রথমদিকে তিনি এ ব্যবসায় ভালো লাভ পান।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এফবিআই, বৃটেনে ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সিসহ বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের কর্তৃপক্ষের কাছে এই চুরি নিয়ে রিপোর্ট করেছেন। উপরন্তু তিনি বৃটেনের ফিন্যান্সিয়াল ওমবুডসম্যান সার্ভিসেও নিয়ে যান এই ঘটনা। তিনি বলেন, আমি চরম হতাশা, অবসন্নতার মধ্য দিয়ে সময় পার করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।
এখন তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করার আগে জনগণকে চরম মাত্রায় সতর্ক ও অভিজ্ঞতা অর্জনের পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন, কখনো ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগে আপনাকে অনেক বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে হবে। বিষয়টা এমন, আপনি যদি কাউকে আপনার ব্যাংক একাউন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত বলেন, তাহলে এর অর্থ হলো তাকে এটা বলে দেয়া যে- যাও এখন আমার ব্যাংক একাউন্ট থেকে তোমার ইচ্ছেমতো অর্থ তুলে নাও।
ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো ব্যবসায় নতুন এক রকম অনলাইন মুদ্রা। এটা যেমন উন্নত হয়েছে, তেমনি এর সঙ্গে সঙ্গে এই অর্থ চুরি করে নেয়ার অপরাধীরাও তাদের কৌশল আয়ত্ত করেছে। সব সময়ই তারা তাদের কৌশল পরিবর্তন করে।
জনগণকে এই নতুন মুদ্রা ও প্রযুক্তি সম্পর্কে অজ্ঞতার সুযোগে তারা অবলীলায় লুটে নিচ্ছে অর্থ। জনগণ যতই ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করছে ততই বাড়ছে তাদের নতুন নতুন টার্গেট। কারণ ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো তুলনামূলক নতুন ও জটিল এক প্রযুক্তি। এই কারেন্সি নিয়ে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে অনেকেই ঝুঁকিতে পড়েন। এমন সব ব্যবহারকারীকেই টার্গেট করে স্ক্যামাররা। তারা লুটে নেয় সব।