দেশ বিদেশ
গণমিছিল-পূর্ব সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা
ধাক্কা দিলেই পড়ে যাবে সরকার
স্টাফ রিপোর্টার
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবাররাজধানীতে গণমিছিল-পূর্ব সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, গণআন্দোলনকে গণঅভ্যুত্থানে পরিণত করে সরকারের পতন ঘটাতে হবে। সরকারকে আর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের সুযোগ দেয়া যাবে না। তাদের আরেকটু ধাক্কা দিলেই পড়ে যাবে।
‘অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তি ও সংবিধান সংস্কার করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একদফা দাবিতে’ গতকাল সমাবেশ ও গণমিছিলের আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। মিছিলটি মতিঝিল শাপলা চত্বর হতে হাটখোলা সড়ক, সালাউদ্দীন হাসপাতাল মোড় হয়ে টিকাটুলীতে গিয়ে শেষ হয়।
রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে এই সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার পতনের কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় অক্টোবরে আন্দোলন আরও উত্তাল হবে। যদি সরকার তফসিল ঘোষণার চেষ্টা করে, একতরফা নির্বাচন করার চেষ্টা করে, জনগণ রাজপথে নেমে গলায় গামছা বেঁধে তাদের ক্ষমতা থেকে নামাবে। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের পালানোর সব ব্যবস্থা তৈরি হয়ে আছে। এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
তিনি বলেন, আমাদেরকে সেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা দরকার। আপনি যখন আর ভয় পাবেন না তখন ওদের (সরকার) অস্ত্র ভোঁতা হয়ে যাবে। সুতরাং রাজপথে নামুন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। শিগগিরই রাজপথে নেমে এদের ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতা থেকে নামলে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন। আর আজকে সরকার আদালতকে ব্যবহার করে মানবাধিকার কর্মীদের জেলে ভরছে। গদি ধরে রাখার জন্য তারা বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে। তাই জনগণকে দেশের দায়িত্ব নিতে হবে। আর এই সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলতে হবে।
বিএনপি’র নেতাকর্মীদের দ্রুত সাজা দিতে রাত ৮টা পর্যন্ত বিচার বিভাগকে সরকার ব্যস্ত রাখছে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র নেতাদের একে একে জেলে ভরার জন্য তারা (সরকার) নানানভাবে সাক্ষী নিয়ে এসে দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করছে। শুধু বিএনপি নয়, মানবাধিকার সংগঠনগুলোকেও তারা ছাড় দিচ্ছে না। তারা এতটাই ভয় পেয়েছে যে এখন গণতন্ত্র মঞ্চকেও ছাড় দিচ্ছে না। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীদের ওপরও হামলা শুরু করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এই সরকার ভোটচুরি করে ক্ষমতায় আছে। সরকারের মন্ত্রীরা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বেহেস্তে আছে। যেখানে মানুষ জাহান্নামে আছে। তাই এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। এই সরকারের বিরুদ্ধে সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রাজপথে অবস্থান নিয়েছে। নৌকা যত ডুববে তাদের শরিক দলগুলোও পক্ষ পরিবর্তন করবে। কারণ মানুষ আর এই ভোটচোরদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
সমাবেশে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।