দেশ বিদেশ
সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিজিবি’র কড়া নিরাপত্তা অতিরিক্ত টহল জোরদার
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
১১ মে ২০২৫, রবিবারসুনামগঞ্জ জেলার ৯০ কিলোমিটার সীমান্ত জুড়ে কড়া নিরাপত্তা ও অতিরিক্ত টহলের ব্যবস্থা করেছে সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। ভারত সীমান্ত রেখায় শুক্রবার রাত আটটা হতে সকাল আটটা পর্যন্ত কারফিউ জারি করায় এপারে টহল জোরদার করেছে বিজিবি। সীমান্তবর্তী এলাকার জনগণকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে এবং অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ না করার জন্য বলা হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবি’র দায়িত্বশীলরা জানান, সিলেটের ৪৮ বিজিবি’র সীমানা শুরু হয়েছে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত এলাকা থেকে। এ উপজেলার বাঁশতলা, পেকপাড়া বাগানবাড়ীতে থাকা বিজিবি ক্যাম্পের ঠিক উল্টোদিকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ রাত আটটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত অনির্দিষ্ট কালের জন্য কারফিউ জারি করেছে, এটি কবে নাগাদ শিথিল হবে এটিও বলা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় বাংলাদেশি নাগরিক যারা অবৈধ পথে ওপাড়ে যায় তাদের শনিবার সভা করে, জনে জনে আলোচনা করে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে ওখানে গেলেই বিপদে পড়বেন তারা। প্রসঙ্গত, এই সীমান্ত পথের কোন কোন এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। ওই পথ দিয়ে এই সময়ে আসছে গরু, পিয়াজ, চিনি, বিভিন্ন ধরনের ভারতীয় মসলা, চকলেটসহ নানা প্রসাধন পণ্য, মাদকসহ ভারতীয় মালামাল। এপার থেকে ওপারে (ভারতে) যাচ্ছে ইলিশ মাছ, শিং মাছ, সুপারিসহ নানা দেশীয় পণ্য। অনেক চেষ্টা করেও বিজিবি এই চোরাচালান ঠেকাতে পারছে না। বিজিবি’র ওই কর্মকর্তা জানান, বিএসএফের দুই নম্বর ব্যাটালিয়ানের সীমান্ত এলাকায় কারফিউ বলবৎ করা হয়েছে। দুই নম্বর বিএসএফ ব্যাটালিয়ান এলাকায় সিলেটের ৪৮ ব্যাটালিয়নের সঙ্গে সুনামগঞ্জের ৯০ কিলোমিটার সীমান্তের ১২ কিলোমিটার পড়েছে। অন্য ৭৮ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান থাকলেও সতর্ক অবস্থায় থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বিজিবিকে। বিজিবি’র দায়িত্বশীল অনেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় পুশইন হচ্ছে, এটিও রোধ করার নির্দেশনা আছে বিজিবি’র। যেমন মিয়ানমারের অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে ভারতে যাচ্ছে বা ঢুকে গেছে তাদের পুশইন, আবার বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে গিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছে তাদের পুশইন এবং মিয়ানমার থেকে ভারতে গেছে তাদেরও বাংলাদেশে পুশইন করার ঘটনা ঠেকাতে বিজিবিকে তৎপর থাকতে বলা হয়েছে। সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক একেএম জাকারিয়া কাদির বলেন, বিজিবি’র চোখ এড়িয়ে অনেক সময় ভারতে চলে যায় সীমান্তের লোকজন। এরা যাতে ওপারে গিয়ে কারফিউয়ের মধ্যে পড়ে মহাবিপদে না পড়ে সেজন্য দোয়ারাবাজারের ১২ কিলোমিটার সীমান্তে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা, সচেতনতা কার্যক্রম ও অতিরিক্ত টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কারফিউ কতোদিন চলবে তাও বলা যাচ্ছে না। জেলার অন্য সীমান্ত এলাকায় স্বাভাবিক অবস্থা থাকলেও সতর্ক থাকার নির্দেশ আছে।