অর্থ-বাণিজ্য
বিকাশকে ফিনটেক পাইওনিয়ার-এর সম্মাননা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১ আগস্ট ২০২৩, মঙ্গলবারবাংলাদেশের ফিনটেক খাতে অগ্রগামী ভূমিকা রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট-২০২৩ এ বিকাশকে ‘ফিনটেক পাইওনিয়ার’ হিসেবে সম্মাননা দিয়েছেন। বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সামি আহমেদ।
সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পের অন্যতম সহযোগী হিসেবে একযুগ আগে যাত্রা শুরু করে বিকাশ। ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা বিশাল জনগোষ্ঠীকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনার পাশাপাশি সবার দৈনন্দিন লেনদেনে আরও সক্ষমতা ও স্বাধীনতা আনার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে বিকাশ। ৭ কোটি গ্রাহক, ৩ লাখ ৩০ হাজার এজেন্ট, সাড়ে ৫ লাখ মার্চেন্ট নিয়ে বিকাশ এখন দেশের প্রতিটি পরিবারের সদস্য। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত সহায়তা ও সরকারের দিক-নির্দেশনায় বিকাশ তৈরি হয়েছে পুরোপুরি দেশীয় মেধায় ‘বিকাশ ইজ মেড ইন বাংলাদেশ, মেড ফর বাংলাদেশ’।
আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে অনন্য প্রতিষ্ঠান বিকাশ বিশ্বের বুকে উদাহরণ তৈরি করেছে। ব্র্যাক ব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানি ইন মোশন এলএলসি, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের অন্তর্গত ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, অ্যান্ট গ্রুপ এবং সফটব্যাংক ভিশন ফান্ড থেকে ৩৮১ মিলিয়ন ইউএস ডলার সমপরিমাণের বিনিয়োগ এনেছে বিকাশ। সরকারের কল্যাণ কর্মসূচিরও অন্যতম সহযোগী হিসেবে সবধরনের ভাতা, প্রণোদনা, ও উপবৃত্তি স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকৃত উপকারভোগীর কাছে পৌঁছে দিচ্ছে বিকাশ।
সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্পের অন্যতম ভিত্তি স্মার্ট অর্থনীতি বাস্তবায়নে ডিজিটাল লেনদেনের ইকোসিস্টেম শক্তিশালী করতে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিকাশ। তাই ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ হবে ক্যাশবিহীন স্মার্ট বাংলাদেশ।
বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কামাল কাদীর বলেন, একযুগ ধরে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মধ্যদিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের দৈনন্দিন লেনদেনকে সহজ ও নিরাপদ করার নিরন্তর প্রচেষ্টারই স্বীকৃতি এই পুরস্কার। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ফিনটেক পাইওনিয়ার পুরস্কার গ্রহণ আমাদের পথচলাকে আরও বেগবান করবে।