অর্থ-বাণিজ্য
পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন টাকা বাজারে সরবরাহ রাখতে নীতিমালা ঘোষণা করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(২ মাস আগে) ২৪ জুলাই ২০২৩, সোমবার, ১০:৫৬ অপরাহ্ন
পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন মুদ্রা বাজারে সরবরাহ রাখতে প্রথমবারের মতো নীতিমালা জারি করলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে অপ্রচলযোগ্য মুদ্রা বদলের দেয়ার মতো বাংলাদেশ ব্যাংক অপরিস্কার মুদ্রাও বাজার থেকে তুলে নিতে পারবে।
এর বিপরীতে সমপরিমাণ নতুন মুদ্রা বাজারে সরবরাহ করার কথা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে সার্কুলার দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচ্ছন্ন নোট নীতিমালা (Clean Note Policy of Bangladesh Bank)’ অনুমোদন করেছে।
এই নীতির আলোকে বাজারে প্রচলনযোগ্য বা ব্যবহারযোগ্য থাকার পরও অধিক ময়লাযুক্ত, ড্যাম্প, মরিচাযুক্ত, অধিক কালিযুক্ত, লেখা-লেখি ও স্বাক্ষরযুক্ত নোট সরিয়ে নিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
পরিচ্ছন্ন নোটের নীতিমালা প্রণয়নের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ‘‘প্রচলিত নোটের সৌন্দর্য্য ও গুণগত মানের উপর সে দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি প্রতিফলিত হয়।’’
প্রচলনে থাকা ব্যাংক নোটের নিরাপত্তা, গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি এবং নোটের সামগ্রিক অবস্থার উন্নতি, নোটের আয়ুস্কাল বৃদিধতে নীতিমালা ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে পরিচ্ছন্ন নোট নীতিমালা বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, নোট ইস্যু করার একক দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের উপর ন্যাস্ত করা হয়েছে। নোট মুদ্রণ, সংরক্ষণ, পরিবহণ, প্রচলন, যাচাই-বাছাই, বাতিলকরণ, বাতিলকৃত নোট ধ্বংসকরণ ইত্যাদি কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের।
এজন্য বাজারের ছেঁড়া-ফাটা এবং অপ্রচলনযোগ্য নোট সরাসরি ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে বদলে দিয়ে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। যাচাই-বাছাই শেষে নিয়মিত অচল নোট ধ্বংস করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রা কাঠামোতে বর্তমানে এক হাজার টাকা, ৫০০ টাকা, ২০০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০ টাকা, ২০ টাকা ও ১০ টাকা মূল্যমানের নোট রয়েছে। এই ৭ ধরনের মুদ্রাকে ‘ব্যাংক নোট’ বলা হয়।
আর ৫ টাকা, ২ টাকা ও ১ টাকা মূল্যমানের কাগুজে মুদ্রার পাশাপাশি ধাতব মুদ্রাও রয়েছে। এরসঙ্গে ৫০ ও ২৫ পয়সা মূল্যমানের ২ ধরনের শুধুমাত্র মুদ্রার সমন্বয়ে বাংলাদেশের মুদ্রা কাঠামো গঠিত। এসব মুদ্রা সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকায় তা কারেন্সি নোট নামে পরিচিত।
সকল মূল্যমানের নোটই কাগজে মুদ্রার। ৫ টাকা, ২ টাকা, ১ টাকা, ৫০ পয়সা এবং ২৫ পয়সা মূল্যমানের মুদ্রাসমূহ মিশ্রিত ধাতুর তৈরি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গত মে মাস শেষে বাজারে দুই লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ বিভিন্ন মানের মুদ্রা বাজারে সরবরাহ রয়েছে। যার মধ্যে দুই লাখ ৫৫ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা মানের বিভিন্ন মুদ্রা ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নেই।
এ পরিমাণ মুদ্রা মানুষের হাতে নগদ আকারে রয়েছে।
পাঠকের মতামত
বাংলাদেশ ব্যংক বৎসরে দুইবার নুতন নোট প্রচার করে ছাড়ে, এটা কোন নিয়মের মধ্যে পরেনা। বাংলাদেশ ব্যংক প্রতি মাসে
মন্তব্য করুন
অর্থ-বাণিজ্য থেকে আরও পড়ুন
অর্থ-বাণিজ্য সর্বাধিক পঠিত
বেশি মূল্যে ডলার কেনাবেচা/ ১৩ ব্যাংকের ব্যাখ্যা চাইলো বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকে দুই অর্থনীতিবিদ/ ব্যাংক ও রাজস্ব খাত এভাবে চলতে পারে না

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]