বিবিধ
স্বর্ণপদক জয়ী ক্বারী মাহমুদুল হাসানের গল্প
স্টাফ রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ১২ জুলাই ২০২৩, বুধবার, ৭:৪৪ অপরাহ্ন
পৃথিবীজুড়ে পবিত্র কোরআনের বাংলাদেশি হাফেজদের আলাদা সুনাম সুখ্যাতি রয়েছে। বাংলাদেশের মানচিত্র ও পতাকাকে এসব হাফেজ বিশ্ব দরবারে সমুন্নত ও সম্মানিত করছেন। এদের মধ্যে ক্বারী মাহমুদুল হাসান অন্যতম। তিনি আন্তর্জাতিকমানের অসংখ্য হাফেজ গড়ে তুলছেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে ২০০৯ সালে পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াতের জন্য তিনি স্বর্ণপদক পুরস্কার জেতেন।
এ ছাড়াও দীর্ঘ ১২ বছর যাবত বাংলাদেশ বেতারে নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ ক্বারী মাহমুদুল হাসান। সেসব তেলাওয়াতের ছোট ছোট অডিও-ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়। এভাবেই কোরআন প্রেমীদের প্রশংসার জায়গায় ক্বারী মাহমুদুল হাসান। হাফেজ ক্বারী মাহমুদুল হাসানের বাড়ি রাজশাহী শহরে। তার বাবা হাফেজ ক্বারী মোহাম্মদ শরিফ। মাহমুদুল হাসান নূরানী কায়েদা থেকে পবিত্র কুরআনের হিফজ পর্যন্ত পুরোটাই সম্পন্ন করেছেন বাবার কাছে।
পরিবারে তিন ভাই, চার বোনের মধ্যে মাহমুদুল হাসান সবার বড়। ক্বারী মাহমুদুল হাসান ২০১২ সালে রাজধানীর উত্তরার জামিয়াতুস সাহাবা মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন। এরপর আন্তর্জাতিকমানের হাফেজ গড়ার উদ্দেশে হাফেজ ক্বারী নাজমুল হাসান ও হাফেজ ক্বারী মাহমুদুল হাসানসহ কয়েকজন মিলে প্রতিষ্ঠা করেন তাহসিন ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদ্রাসা। তিনি বাংলাদেশ হিফজ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও প্রশিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন। এছাড়া ২০১৭ সালে কাতার ও ওমানে, ২০১৮ সালে সৌদি আরবে ও ২০১৯ সালে বেঙ্গালুরে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে তিনি আমন্ত্রিত হন। হাফেজ ক্বারী মাহমুদুল হাসান বলেন, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমি পবিত্র কোরআনের খেদমত করে যেতে চাই। তিনি বলেন, শতাধিক দেশের মেধাবী হাফেজদের পরাজিত করে বাংলাদেশি হাফেজরা পুরস্কার জেতেন। এতে বাংলাদেশের সুনাম হয়। অন্য দেশের কাছে এ দেশের গুরুত্বও সম্মান বাড়ে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি আজীবন চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। এ ক্ষেত্রে সরকার ও সমাজের বিত্তবানরা সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে এলে এ কাজ আরো বেগবান হতে পারে।