অর্থ-বাণিজ্য
ক্ষুদ্রব্যবসা
আয় কমেছে শরবত বিক্রেতা মাজহারেরও
স্টাফ রিপোর্টার
৫ জুন ২০২২, রবিবার
রাজধানীর ফার্মগেটে ৮ বছর ধরে লেবুর শরবত বিক্রি করেন মাজহারুল ইসলাম। অর্থের অভাবে লেখাপড়া করতে পারেননি। তবুও কষ্ট করে নবম শ্রেণি পর্যন্ত উঠেছিলেন। কিন্তু চেষ্টা করেও কোনো চাকরির ব্যবস্থা করতে পারেননি। কাজের খোঁজে ২০১৩ সালে নরসিংদী থেকে ঢাকায় আসেন। অনেক জায়গায় ধরনা দিয়ে কাজ না পাওয়ায় চিন্তা করেন নিজেই কিছু একটা করবেন। পরে পরিচিতদের সহযোগিতায় ফার্মগেট মোড়ের ফুটপাথে শুরু করেন লেবুর শরবতের ব্যবসা। অতি ক্ষুদ্র এই ব্যবসা থেকে তার বর্তমান মাসিক আয় হয় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। বর্তমানে কমে গেছে বিক্রি। আগে আয় হতো আরও বেশি।
মাজহার বলেন, করোনার আগে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতো। কিন্তু এখন কেন যেন বিক্রি কমে গেছে। বর্তমানে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ গ্লাস শরবত বিক্রি হয়। গরম পড়লে অবশ্য বিক্রি কিছুটা বাড়ে। প্রতি গ্লাস শরবত ১০ টাকা। সেই হিসাবে প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা বিক্রি হয়। এরমধ্যে আবার কিছু খরচ আছে। মাস শেষে খরচ বাদ দিয়ে হিসাব করলে প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা থাকে। কিন্তু সেভাবে আসলে হিসাব করা হয় না। পরিবারে খরচ আছে। দুইদিন পর পরই বাড়িতে টাকা দিতে হয়। তাই মাস গেলে হাতে তেমন টাকা থাকে না। আমাদের দিন হিসাব করতে হয়। হাটবাজার করে খেতে হয়। এখনতো আবার সবকিছুর দাম বেশি। তাই খরচও বেড়ে গেছে। কিন্তু আয় আগের তুলনায় বাড়ে নাই। বরং অনেক কমে গেছে।
মাজহার জানান, এই ব্যবসার পুঁজি বেশি লাগে না। লেবু আর বরফ কিনতে হয়। আর পানির ফিল্টার তো আগেরই কেনা। কিন্তু খরচ হলো প্রতিদিন জায়গার ভাড়া দিতে হয়। তেজগাঁও থানা ও শেরেবাংলা থানা, দুই থানা থেকেই পুলিশ আসে। তাদেরকে অন্তত ২০০ টাকা দিতে হয়। এছাড়া কিছু পুলিশ- যখন যেই আসে কিছু দিতে হয়। এভাবে প্রতিদিন প্রায় ৩০০ টাকার মতো জায়গার ভাড়াই দিতে হয়। তারপরও যা আয় হয় তা দিয়ে পরিবারে কিছু সহযোগিতা করতে পারি।