অর্থ-বাণিজ্য
চিনির কেজি এক লাফে ১৬ টাকা বাড়ালো সরকার
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(৪ মাস আগে) ১০ মে ২০২৩, বুধবার, ৫:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন

আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমবর্ধমান মূল্যের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ১৬ টাকা বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে সরকার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পরিশোধিত খোলা চিনির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা, যা আগে ছিল ১০৪ টাকা। আর প্যাকেটজাত পরিশোধিত চিনির দাম কেজি প্রতি ১০৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২৫ টাকা করা হয়েছে। চিনি পরিশোধনকারীরা নতুন এই দামে চিনি বিক্রি করার অনুমতি পেলো।
এদিকে বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেশি হওয়া, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া ও দেশে বাড়তি পরিবহন খরচের জন্য চিনির দাম বাড়ছে। তাছাড়া চিনির একটু ঘাটতি আছে বলে খবর পেয়েছি।
সচিব বলেন, চিনির জন্য শুল্ক কমানো হয়েছে। কমানোর পরও দাম অতটা কমানো যাচ্ছে না। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়েছে, পাশাপাশি বেড়েছে ডলারের দামও। এ ছাড়া দেশের মধ্যে পরিবহন খরচও কিছু বেড়ে গেছে। এর কারণেই দামে প্রভাব পড়ছে। তবে এ বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দেখছে।
চিনির জন্য যে ট্যারিফ হার কমানো হয়েছে, সেটি ৩১শে মে পর্যন্ত বহাল আছে জানিয়ে সচিব আরও বলেন, ‘ট্যারিফ হার আরও কমানোর জন্য এনবিআরকে চিঠি দেয়া হবে। কারণ, গত বছরের তুলনায় চিনির দাম অনেক বেড়ে গেছে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ট্যারিফ নির্ধারণের বিষয়টি এনবিআর দেখে থাকে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি বেড়ে গেলে এনবিআরকে শুল্ক কমানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। এনবিআর পর্যবেক্ষণ করে বিভিন্ন সময় শুল্ক কমিয়ে থাকে।
এদিকে বাজারে রমজানের আগে থেকেই আমদানির ক্ষেত্রে চিনির কিছুটা ঘাটতি ছিল উল্লেখ করে সচিব বলেন, ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে হবে। তবে চিনিবাহী কত জাহাজ দেশে এসেছে, সে বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এসোসিয়েশনের চিনির দাম বাড়ানোর দাবি বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সুপারিশ করেছে বলে জানান তপন কান্তি। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম অনেক বেড়েছে। সে জন্য এসোসিয়েশন দাম বাড়ানোর দাবি করেছে। তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ের অভিন্ন নির্ধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন হিসাব করে দেখেছে, এসোসিয়েশনের দাবি অনুযায়ী দাম সমন্বয় করা সম্ভব নয়। তবে খোলা চিনি ১০৪ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি ১০৯ টাকার জায়গায় সর্বোচ্চ ১২০ টাকা ও ১২৫ টাকা নির্ধারণ করে বিপণন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নতুন এ দাম কার্যকরে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানান সচিব। তিনি বলেন, গত সোমবার (৮ই মে) এসোসিয়েশনকে নতুন দাম সুপারিশ করা হয়েছে। এখন এসোসিয়েশন নতুন দাম বাস্তবায়ন করবে কিনা, সে বিষয়ে যোগাযোগ চলছে। এ দাম বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ে কাজ করবে ভোক্তা অধিকার।
পাঠকের মতামত
আমি বাংলাদেশী কর্পোরেট, লোভী, রক্তচোষদের সিন্ডিকেট পশ্চিমা বর্বর পুঁজিবাদ সাথে দেশজ কারচুপি আমি হাজী, আমি কাজী অনন্য এক রেসিপি। চাল, তেল, মুরগি, ডিম কিছুই আর বাকি রাখিনি চিনিতে যে এত চিনি, আরো আগে কেনো বুঝিনি। সার, গ্যাস, বিদ্যুৎ তেও হাতটানের অভ্যাস আখের মেশিনে জনগন নিয়ে নেই নির্যাস। রমজানকে বড় ভালবাসি আবারো দামের বরকত তাই দিয়েই তো হজ্জ করি আর ঘুরি ইউরোপ। সব থেকে মোরা সেরা পঞ্চ পাণ্ডব ভাই ভাই করবো বাজার নিয়ন্ত্রণ আর কারো আশা নাই। আমি কর্পোরেট আমি দাম চোরদের ব্রিগেড। আমি কর্পোরেট আমি বর্বরেট।
আমাদের পাশের দেশ ভারতে চিনির দাম আমদের চেয়ে অর্ধেকের চেয়ে ও কম। চাল, ডাল, সবজি, তেল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম ই অনেক কম। ওখানে কি Ukraine যুদ্দের প্রভাব পরে নি? ওখানে কি বিশ্ব মন্দার প্রভাব পরে নি? নাকি আমাদের চরম ব্যর্থতা? আমরা সাধারন মানুষ জানি যে সরকারের উচিত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পথ্যের দাম কন্ট্রোল করা- আমদানি করেই হোক, যে ভাবে হোক। আমরা জিবন-যুদ্ধ চালাতে হিম-সিম খাচ্ছি। সত্যিকার অর্থে সাধারন মানুষের জন্য কল্যাণকর কিছু করুন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিলুপ্ত করা দরকার এই মুহূর্তে। জনগনের কোন উপকারে আসছেনা এই মন্ত্রণালয়।
দ্রব্যমূল্যের উন্নয়ন নিয়ে কেউ আর কথা বলেনা!
নির্বাচনের আগে আরেক দফা জোরালো লুট চলবে। শুনতেছি কতগুলো প্লেন কিনবে এবং তার জন্য মোটা অংকের অর্থ বরাদ্ধ চলছে। এখন চিনিতে দাম বাড়ালো। মানে শেষ মুহূর্তের লুট। পুনরায় ক্ষমতা থাকে কি না সন্দেহ আছে। তাই শেষ মুহূর্তে কিছু কমানোর ফন্দি।