ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

অর্থ-বাণিজ্য

রিজার্ভ কমে ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

(১ বছর আগে) ৮ মে ২০২৩, সোমবার, ৮:৪৬ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৪:২৬ অপরাহ্ন

mzamin

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে। সোমবার এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) কাছে মার্চ-এপ্রিল মাসের দায় হিসাবে ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধ নিষ্পত্তির পর রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২৯.৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৯৮০ কোটি ডলারে। আগের দিন রোববার রিজার্ভ ছিল ৩০.৯৮ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৯৮ কোটি ডলার। আকুর বিল পরিশোধের পর সাত বছর পর রিজার্ভ ৩০ বিলিয়নের নিচে নেমে এসেছে। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষে রিজার্ভ ছিল ৩০.৩৫ বিলিয়ন ডলার। আর গত বছরের একই সময়ে রিজার্ভ ছিল ৪২.২০ বিলিয়ন ডলার।

আকু হলো- একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। খারাপ অবস্থার কারণে গত অক্টোবরে আকু থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বাকি দেশগুলো প্রতি দুই মাস অন্তর নিজেদের মধ্যকার দায় নিষ্পত্তি করে। গত মার্চে আকুতে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির ১.০৫ বিলিয়ন ডলার। গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে ১.২ বিলিয়ন, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ছিল ১.৩২ বিলিয়ন, মে-জুন সময়ে ছিল ১.৯৬ বিলিয়ন এবং জুলাই-আগস্টে ১.৭৫ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরখানেক ধরে রিজার্ভ কমার ধারায় রয়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিল শেষে রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি ছিল। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার। অবশ্য এর বড় অংশই রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করার কারণে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে গত ৩রা মে পর্যন্ত ব্যাংকের কাছে ১২.৩৫ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরেও ৭.৬২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছিল। মূলত সরকারি কেনাকাটা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আমদানি দায় পরিশোধে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে আমদানি কম থাকার পাশাপাশি উচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে ২০২১ অর্থবছরে দেশের ব্যাংকগুলো থেকে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার কিনেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

যদিও আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, আগামী ৩০শে জুনের মধ্যে প্রকৃত রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৪৬ কোটি ডলারে উন্নীত করতে হবে। সেইসঙ্গে আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৫৩০ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বরে ২৬ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬৮০ ডলারের নিচে থাকতে পারবে না।

আইএমএফের মানদণ্ড অনুযায়ী, রিজার্ভ থেকে বিদেশে বিভিন্ন বন্ড, মুদ্রা ও স্বর্ণে বিনিয়োগ; রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল গঠন; বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ কেনা বাবদ সোনালী ব্যাংককে ধার; পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের খনন কর্মসূচিতে দেয়া অর্থ এবং শ্রীলঙ্কাকে দেয়া ধার ৮২০ কোটি ডলার বাদ দিতে হবে। আইএমএফ সব সময়ই বলে আসছে, এগুলো বাদ দিয়ে প্রকৃত রিজার্ভের হিসাব রাখতে হবে। আইএমএফের মতে, এগুলো বাদ দিলে প্রকৃত ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ দাঁড়াবে ২ হাজার ১৭০ কোটি ডলারে।
 

অর্থ-বাণিজ্য থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অর্থ-বাণিজ্য সর্বাধিক পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রে পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে গভর্নর/ টাকা পাচার করে যারা বিদেশে সম্পদ গড়েছে, তাদের ছাড় নয়

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status