ঢাকা, ১৬ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

দেশ বিদেশ

৫ বছরে চালু হয়েছে ৭৮ শতাংশ দোকান

ই-সিগারেটের প্রসার তামাকমুক্ত বাংলাদেশ লক্ষ্য ব্যাহত করবে

স্টাফ রিপোর্টার
৫ এপ্রিল ২০২৩, বুধবার

তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য ব্যাহত করতে তামাক কোম্পানিগুলো তরুণদের আসক্ত করতে বিভিন্ন কূটকৌশল প্রয়োগ করে দেশে ই-সিগারেটের বাজার দ্রুত সমপ্রসারণ করছে। ৭৮ শতাংশ ই-সিগারেটের দোকান ২০১৬ সালের পর (২০১৭-২০২১) পাঁচ বছরের মধ্যে চালু হয়। মাত্র পাঁচ বছরে কয়েকগুণ ভ্যাপিং শপ বৃদ্ধি পেলেও পুরাতন দোকানগুলোর বিক্রি কমেনি; বরং নতুন ও পুরাতন দোকানগুলোতে দিন দিন বিক্রি বাড়ছে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)-তে ইন্টার প্রেস নেটওয়ার্ক আইপিএন’র-উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে এ সংক্রান্ত গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ‘বাংলাদেশে নতুন পণ্য বিচারে তামাক শিল্পের কূটকৌশল’ শীর্ষক গবেষণাটি যৌথভাবে সম্পাদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচ.ডি গবেষক ও গণমাধ্যমকর্মী এহসানুল হক জসীম এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষক সৈয়দ সাইফুল আলম। ছয় মাসব্যাপী মাঠ পর্যায়ের এই গবেষণাটি পরিচালিত হয় ২০২২ সালে। ফলাফল উপস্থাপনে বলা হয়, ২০১২ সালে বাংলাদেশে প্রথম ই-সিগারেট আগমনের পর প্রথম ৪/৫ বছর পর্যন্ত কেবলই রাজধানীর কিছু অভিজাত এলাকায় ই-সিগারেটের অল্প কিছু দোকান ছিল। ই-স্পোকারের সংখ্যাও তখন খুবই কম ছিল। এখন সারা  দেশে ই-সিগারেট পাওয়া যায়। জ্যামিতিক হারে আশংকাজনকভাবে বাড়ছে ই- স্পোকারের সংখ্যা, ই-সিগারেটের ব্যবহার।

বিজ্ঞাপন
সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১২ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে চালু হয়েছে এবং এখনো ই-সিগারেট বিক্রি করছে, এমন দোকানের সংখ্যা ২২ শতাংশ। বাকি ৭৮ শতাংশ ই-সিগারেটের দোকান ২০১৬ সালের পর (২০১৭-২০২১) পাঁচ বছরের মধ্যে চালু হয়। মাত্র পাঁচ বছরে কয়েকগুণ ভ্যাপিং শপ বৃদ্ধি পেলেও পুরাতন দোকানগুলোর বিক্রি কমেনি; বরং নতুন ও পুরাতন দোকানগুলোতে দিন দিন বিক্রি বাড়ছে। মাত্র কয়েক বছরে বেশির ভাগ ই-সিগারেটের দোকান চালু হওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশে সামপ্রতিক সময়ে ই-সিগারেট খুবই দ্রুত ও আশংকাজনক হারে বিস্তারের প্রমাণবহ। তামাক কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন কূটকৌশলের কারণে বাংলাদেশে ই-সিগারেটের ব্যবহার ও নতুন এই তামাক পণ্যের বাজার জ্যামিতিক হারে বিস্তৃত হচ্ছে।  গবেষণায় দেখা যায়, ই-সিগারেটের গ্রাহকদের বেশির ভাগই যুবক, বিশেষ করে ছাত্র। তথাকথিত ইতিবাচক দিক তুলে ধরে তরুণদের ই-সিগারেটের প্রতি আকৃষ্ট করা হয়। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৮০ শতাংশ বিক্রেতা জানিয়েছে, ই-সিগারেট ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য তারা অনলাইন প্ল্যাটফরম এবং  সামাজিক সাইট উভয়ই ব্যবহার করেন। ৯৪ শতাংশ দোকান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন। তারা অফ-লাইন মিডিয়াও ব্যবহার করেন। আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে এই গবেষণায়। ই-সিগারেটের বাজার সমপ্রসারণ রোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি) এর অধীনে একটি পৃথক বিভাগ গঠনেরও সুপারিশ করা হয়। সুপারিশগুলোর প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে বিভিন্ন তামাক-বিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধি, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষকরা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক ছিলেন মানসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বারডেমের ডেন্টাল বিভাগের প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. মহিউদ্দীন ফারুক, দ্য ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন প্রমুখ। ইন্টার প্রেস নেটওয়ার্কের নির্বাহী পরিচালক মো. গোলাম মাওলা সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক এহসানুল হক জসীম।

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status