বিনোদন
চিত্রনায়িকা মাহি গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে
(৪ দিন আগে) ১৮ মার্চ ২০২৩, শনিবার, ১২:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:১৩ অপরাহ্ন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় আলোচিত চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। আজ দুপুরে ওমরাহ হজ পালন শেষে দেশে ফিরলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে গাজীপুর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ তথ্য জানিয়েছেন গাজীপুরের ডিবি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান। জানা গেছে, ওমরাহ পালন শেষে মাহিয়া মাহি দেশে ফিরলেও স্বামী রকিব সরকার দেশে ফিরেননি।
এর আগে শুক্রবার রাতে গাজীপুরের বাসন থানায় মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী আওয়ামী লীগ নেতা রকিব সরকারের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া একই রাতে মারধর, ভাঙচুর, চাঁদাবাজির অভিযোগে অপর একটি মামলা করেন স্থানীয় ইসমাইল হোসেন।
শুক্রবার রাতে মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকার জমি ও শোরুম নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে ও গাজীপুর মহানগর পুলিশকে জড়িয়ে ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে মক্কা থেকে ফেসবুক লাইভে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। অন্যদিকে, ইসমাইল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে মারধর, কারখানা ভাঙচুর ও জমি দখলের অভিযোগ তুলে ধরেন।
মাহিয়া মাহিকে কারাগারে পাঠালেন আদালত
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. আবু তোরাব মোহাম্মদ শামসুদ্দিন জানান, শুক্রবার রাতে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী আওয়ামী লীগ নেতা রকিব সরকারের নামে গাজীপুর মহানগরের বাসন থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফেসবুক লাইভে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামসহ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন মারধর, ভাঙচুর, চাঁদাদাবি ও জমি দখলের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হুকুমের আসামি করে ২৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দুটোর বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি মক্কা থেকে রওনা দেওয়ার আগে শুক্রবার মধ্যরাতে আবারও ফেসবুক লাইভে যুক্ত হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। শনিবার সকালে দেশে পৌঁছাবেন জানিয়ে, এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে গ্রেপ্তার হতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে, নগরের ইটাহাটা এলাকার রড বাইন্ডিং কারখানা মালিক ইসমাইল হোসেন জানান, জমি কিনে কমপক্ষে ১০ বছর ধরে তিনি কারখানা বানিয়ে তাতে দখলে রয়েছেন। বর্তমান বাজারদরে প্রায় ৪ কোটি টাকা দামের এই জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধে উচ্চ আদালতেও তার পক্ষে রায় রয়েছে। এরপরও শুক্রবার ভোরে রাকিব সরকার ও তার স্ত্রীর লোকজন অতর্কিত হানা দিয়ে তাদেরকে মারধর করে অন্তত ৫ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে এবং জবর দখলের চেষ্টা করে। তিনি পুলিশ কর্মকর্তা ও সরকারের প্রতি এর সুষ্ঠু প্রতিকার দাবি করছেন। তিনি আরো জানান, এর আগে এ বিষয়ে তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
এর আগে শুক্রবার ভোরে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ফেইসবুক আইডি থেকে লাইভে মাহির স্বামী গাজীপুরের ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা রকিব সরকারের গাড়ির শোরুমে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ তোলেন ইসমাইল হোসেন ও মামুন সরকারের বিরুদ্ধে। তারা লাইভে জানান, গাজীপুর মহানগরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্বপাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশের তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সনি রাজ কার প্যালেস নামের গাড়ির শোরুম দখলের উদ্দেশ্যে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। দীর্ঘ সময়ের লাইভে তারা এ ঘটনায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিরুদ্ধেও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে কমিশনারের বিরুদ্ধে দেড় কোটি টাকা ‘ঘুষ নেওয়ার’ অভিযোগও করেন। রকিব সরকার মানবজমিনকে জানান, তিনি ওই জমিতে দীর্ঘদিন ধরে গাড়ির শোরুম তৈরি করে ব্যবসা করে আসছেন। জমির কাগজপত্রসহ সবকিছুই তার নামে রয়েছে। কিন্তু ওই জমি থেকে বেদখল করার অপচেষ্টার বিষয়টি এরই মধ্যে তিনি সরকারের বিভিন্ন মহলে মৌখিকভাবে অবহিত করেছেন।
ফেসবুক লাইভে মাহিয়া মাহির অভিযোগের বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, "সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহি পুলিশের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ করেছেন, মিথ্যা বলে মানুষের সহানুভূতি নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। যাদের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাদেরও আমি চিনি না।
পাঠকের মতামত
আদালত সব সিদ্ধান্ত নেবে। কোন বেআইনী কর্মকান্ডের সাথে জড়াবেন না।
ভিতরে ভিতরে বড় কিছু ঘটছে..! তা না হলে চুতুরমুখী এইসব নাটক সিনেমা কেন মঞ্চায়িত হচ্ছে??
বাক স্বাধীনতার সংজ্ঞা পুনরায় সংজ্ঞায়িত করতে হবে । ডিজিটাল নিরাপত্তায় আইন মুখস্ত করতে হবে । এদেশে বাস করতে হলে !
নো টেনশন কাদের কাক্কু তো আছেন
এজন্যই আওয়ামীলীগ আওয়ামীলীগ করে লাফাচ্ছিল। মামলা থেকে বাচার জন্য রক্ষা হলো না
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কালো আইন। এটা অবিলম্বে বাতিল করা হউক। কোন কেউ মানহানি করলে মানহানি মামলায় মামলা করতে পারে। এজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তার মতো নাগরীক অধিকার হরণ আইনের কোন প্রয়োজন নেই।
নো টেনশন কাদের ভা তো আছেন
Court will decide everything. Don't involve with any illegal activities.
মাহির অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন।