অর্থ-বাণিজ্য
বিপজ্জনক আয় বৈষম্যের দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ: আবুল বারকাত
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ২২ মে ২০২২, রবিবার, ২:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:১৩ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত মনে করেন, বাংলাদেশ এখন বিপজ্জনক আয় বৈষম্যের দেশে পরিণত হয়েছে। বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত; আয় বৈষম্য কমিয়ে আনা এবং শোভন কর্মসংস্থান তৈরি করা।
রোববার বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ভবনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা ২০২২-২৩: একটি জনগণতান্ত্রিক বাজেট প্রস্তাব শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন এমন কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত। এসময় তিনি দেশের সকল নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর ‘কর দাসত্ব’ বন্ধ করার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, আয় ও সম্পদ বৈষম্যের পাশাপাশি দেশে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বৈষম্যও বাড়ছে। অন্যদিকে করোনার কারণে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এই বৈষম্য কমিয়ে আনাই আসছে বাজেটসহ পরবর্তী আরো ৫টি বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।
এমন বাস্তবতাকে সামনে রেখে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য উন্নয়ন ও পরিচালন ব্যয় মিলে মোট ২০ লাখ ৫০ হাজার ৩৬ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব করেছে অর্থনীতি সমিতি। এই বাজেট সরকারের বাজেটের তুলনায় ৩.৪ গুণ বড় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
বৈদেশিক ঋণ প্রসঙ্গে আবুল বারকাত বলেন, ২০২৭/২৮ সাল নাগাদ বাংলাদেশ যখন এক সাথে ৪/৫টি বৈদেশিক সাহায্য নির্ভর মেগা প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু করবে, তখন ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশের অবস্থান সবুজ থেকে লাল হয়ে যাবে। অর্থাৎ ঋণ পরিশোধে অস্বস্তি তৈরি করবে।
২০৩২ সালে গিয়ে বিপদ আরো বেশি হতে পারে। তখন রাজনীতিতে এর বিরুপ প্রভাব পড়বে কিনা, তা নিয়ে এখন থেকেই শক্তভাবে ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন এই অর্থনীতিবিদ।
।পাঠকের মতামত
াজেটে কত লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হল/ হবে তা স্পষ্ট থাকা উচিৎ। গতানুগতিক বাজেট হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। নতুন হওয়া দরিদ্রের জন্য আলাদা এলোকেশন থাকলে ভাল।
সবচেয়ে বড় অনিয়ম বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে অন্য যায়গায় অনেক বেশি বেতনের চাকরি করার আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেবার সুযোগ। আবুল বরকত সাহেব জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে চার হাজার কোটি টাকা নয় ছয় করে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিলেন।তখন নিশ্চয়ই ছাত্রদের অনেক নীতি নৈতিকতা আদর্শের শিক্ষা দিয়েছেন। ছাত্ররা নিশ্চয়ই মুখ টিপে হেসেছে। এখনও তার ভাল ভাল কথা শেষ হয়নি।
Teacher means - National head .we learn good things from them but mr Barakat ....???
বাংলাদেশ একটি জনভুল দেশ- ১৭ কোটি মানুষের দেশ। এখানে লাখ লাখ মানুষ বেকার বা কর্মহীন। এদের কর্ম সংস্তান করাটাই বাজেটের মুখ্য উদ্দেহ্য হওয়া উচিত - অর্থনৈতিক সমিতির সভাপতি এ ব্যাপারে কিছুই বলেননি। দেশে বিনিয়ক বারাতে হবে, দেশকে উৎপাদন মুখি দেশে পরনত করতে হবে। আরও অনেক কিছু বলার ছিল- উনি কিছুই বলেন নি।
জনতা ব্যাংক খেয়ে ফেলা নিয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী বক্তব্য দিয়েছেন।
আবারো আবুল বারকাত তার বরকতি গবেষণা নিয়ে মঞ্চে হাযির। এবার কার এজেন্ট হয়ে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ নেমে পরেছেন, আল্লাহ মালুম।