বিশ্বজমিন
ইউক্রেন যুদ্ধ: অন্যের পুরুষসঙ্গী চুরি করে ইউক্রেন সুন্দরীর চম্পট
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ২২ মে ২০২২, রবিবার, ১১:০০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:১১ পূর্বাহ্ন
মানবতা দেখাতে গিয়ে সর্বনাশ হয়েছে লরনা গারনেটের। টনি গারনেটের সঙ্গে তার ১০ বছরের সম্পর্ক, সংসার। এরই মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেখান থেকে শরণার্থী প্রবেশ করে বৃটেনে। তার মধ্যে লাভিভ শহরের ২২ বছরের যুবতী সোফি কারকাদিম অন্যতম। বৃটেনে তার বসবাসের জায়গা ছিল না। ফলে এগিয়ে আসেন লরনা। তাকে আশ্রয় দেন। বলেন, তাদের সঙ্গেই থাকতে। কিন্তু কে জানে সেই মানবতা দেখানোই কাল হয়ে আসবে লরনার জন্য! তিনি তিন সন্তানের মা। লাভিভ থেকে আসা সোফি তার ১০ বছরের সংসার ভেঙেচুরে দেবে তা তিনি ঠাহর করতে পারেননি কখনো।
খুব বেশি সময় ধরে তার এই সর্বনাশের নাটক সাজানো হয়নি। সোফি যুদ্ধকবলিত ইউক্রেন থেকে পালিয়ে গিয়ে তাদের সংসারে ওঠার মাত্র ১০ দিনের মধ্যে ঘটে যায় সব। এরই মধ্যে টনি গারনেট ও সোফির মধ্যে অন্তরঙ্গতা চরম আকার ধারণ করে। তারই পরিণতিতে তারা চম্পদ দেয়।
টনি গারনেট ২৯ বছর বয়সী একজন নিরাপত্তা প্রহরী। বসবাস ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের ব্রাডফোর্ডে। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের ২২ বছরের সুন্দরী সোফির প্রেমে পড়েছেন তিনি। জীবনের বাকিটা সময় তার সঙ্গে কাটাতে চান। অন্যদিকে লাভিভ শহর থেকে যাওয়া সোফি বলেছেন, টনি গারনেটকে দেখার সঙ্গে সঙ্গে তিনি অভিভূত হয়েছেন। অর্থাৎ প্রথম দেখায় তার প্রেমে পড়ে গেছেন। এখন তাদের লাভস্টোরি পূর্ণতা পেয়েছে।
বৃটিশ মিডিয়াকে প্রতারণার শিকার লরনা বলেছেন, তিনি মনে করেন শুরুতেই সোফি তার পার্টনার টনির ওপর চোখ ফেলেছেন। তিনি তাকে চেয়েছেন। এবং চূড়ান্ত দফায় তাকে নিয়েই চলে গেছেন। যা ঘটেছে সব মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যে। লরনা বলেছেন, আমি মনে করেছিলাম যুদ্ধের শিকার একজন ব্যক্তির মাথার ওপর ছাদ নেই। তার আশ্রয়ের খুব প্রয়োজন। তাকে এ সময়ে আশ্রয় দেয়াটাই সঠিক কাজ। তাই তাকে আশ্রয় দিই। তাকে আশ্রয় দেয়ার বিনিময় সোফি আমাকে এভাবে দিল!