বিনোদন
গু ড নি উ জ
ফয়সাল রাব্বিকীন
২২ মে ২০২২, রবিবারদ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি, অসাধু ব্যবসায়ীদের তেল নিয়ে তেলেসমাতি, একে অপরকে দোষারোপের রাজনীতি, সর্বশেষ সিলেটের বন্যা- অনেক ব্যাড নিউজের ভিড়ে দেশীয় চলচ্চিত্রে এলো গুড নিউজ। অনেকটা হঠাৎই যেন বদলে গেছে প্রেক্ষাপট। আর সেটা হলো আড়াই বছর পর দলে দলে এবারের ঈদের ছবিগুলো দেখতে হলে আসছেন দর্শক। ব্যবসায়িক সফলতার হিসাব যাই হোক না কেন, হলে দর্শক আসায় কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন প্রযোজক, হল মালিক থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। পরিবেশ অনকূলে থাকলে ও ভালো ছবি হলে যে দর্শক হলে আসেন সেটাই এবার প্রমাণ হয়েছে ঈদে। এখনো ঈদের ছবি দেখতে দর্শক হলে আসছেন। এবং পরিবার নিয়ে আসছেন। একটা সময় পরিবার নিয়ে হলে আসার সংস্কৃতি বন্ধ হতে বসেছিল। সর্বশেষ করোনার কারণে পরিবারতো দূরের কথা, হলে আসার সাহসই পায়নি দর্শক। এ কারণে ছবিও মুক্তি পেয়েছে খুব কম।
সব মিলিয়ে ঈদের ছবিতে দর্শক আসায় চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা আশার আলো দেখছেন। শুধু তাই নয়, যারা করোনা পরিস্থিতির কারণে ছবি মুক্তি দিতে চাচ্ছিলেন না তারাও এখন ছবি মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা করছেন। এরইমধ্যে গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘পাপপূণ্য’ মুক্তি পেয়েছে গেল শুক্রবার। অন্যদিকে সৈকত নাসিরের ‘তালাশ’ মুক্তি পাচ্ছে ২০শে জুন। যেটা চলচ্চিত্রের জন্য একটি ইতিবাচক দিক। বিষয়টি নিয়ে প্রযোজক নেতা ও ‘গলুই’ ছবির প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু বলেন, এটা নিঃসন্দেহে একটি গুড নিউজ চলচ্চিত্রের মানুষদের জন্য। কারণ ঈদের ছবি দেখতে দর্শক দলে দলে এসেছেন, আসছেন- এটাই আমাদের সফলতা। এমনকি গত শুক্রবার আমরা ‘মধুমিতা’ ও ‘চিত্রামহল’ হলে ‘গলুই’ মুক্তি দিয়েছি। প্রতিটি শো-ই হাউজফুল ছিল। আসলে ভালো বাজেটের, কাস্টিংয়ের ছবি হলে দর্শক হলে আসে। ‘গলুই’ সরকারি অনুদানের ছবি। তার সঙ্গে আমি আড়াই কোটি টাকা যোগ করেছি। এই টাকায় অনেক ছবি বানাতে পারতাম। কিন্তু দর্শকদের কথা মাথায় রেখেই ভালোভাবে একটি ছবিই করেছি। আর যারা নির্বাচনের জন্য শুধু ছবি বানাচ্ছেন, সেসব নামমাত্র বাজেটের ছবি দর্শক দেখবে না। বরঞ্চ এগুলো ভালো ছবির জন্য অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে বলেই আমার মনে হয়। বিষয়টি নিয়ে মধুমিতা সিনেমা হলের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, এবার দর্শক হলে ফিরছে এটা গুড নিউজ। মধুমিতায় দুই সপ্তাহ ‘শান’ ভালো চলেছে। শুক্রবার থেকে চলছে ‘গলুই’। এটাও ভালো যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব আছে সবার। সেটা হলো ভালো মানের, কাস্টিংয়ের ও বাজেটের ছবি হলে মুক্তি দেয়া। এবার কিন্তু তেমন ছবিই এসেছে। এই ধারাবাহিকতাটা অব্যহত রাখতে হবে। তাহলে প্রযোজক, হল মালিকসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা সবাই টিকে থাকতে পারবেন।