বিশ্বজমিন
রেফারি যখন ‘প্রাপ্তবয়স্ক’ স্বর্ণকেশীর প্রেমে
মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) ২৮ নভেম্বর ২০২২, সোমবার, ১:২১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:১২ অপরাহ্ন

রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনালের রেফারি ছিলেন নেস্তর পিতানা। ওই খেলায় ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে পরাজিত করে ফ্রান্স। এতে রেফারি ছিলেন পিতানা। ২০১৪ সালে ব্রাজিলে আয়োজিত বিশ্বকাপ ফুটবলের আসরেও তিনি একজন কর্মকর্তা ছিলেন। ঠিক ওই সময়ে ৪৭ বছর বয়সী পিতানার সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটে আর্জেন্টাইন এক স্বর্ণকেশী যুবতীর। তার নাম রোমিনা ওর্তেগা। এই যুবতী রগরগে কন্টেন্ট তৈরি করে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন। প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য একটি ওয়েবসাইটে তার ভক্তের কোনো অভাব নেই। সেখানে কন্টেন্ট দেন। চ্যাটিং করেন। বন্ধনহীন সেই চ্যাটিংয়ে উঠে আসে অশালীনতা। তো তারই প্রেমে পড়ে যান পিতানা। তাদের মধ্যে চুটিয়ে প্রেম চলতে থাকে। একসঙ্গে ঘোরাঘুরি, এমন কি নেই- যা ঘটেনি। এক সময় তাদেরকে একটি বিমানবন্দরে দেখা যায় প্রকাশ্যে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করছেন। পরে ২০১৫ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কয়েকদিন আগে নিজের দেশ আর্জেন্টিনায় রেসিং ক্লাব এবং রোজারিও সেন্ট্রালের মধ্যে খেলায় অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। বিয়ের আগে হবুবধুকে রগরগে একটি বার্তা পাঠাতে সময় ঠিকই বেছে বের করেন নেস্তর পিতানা। তিনি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে রোমিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন- হানি। আমি তোমাকে একটি বিগ কিস পাঠাচ্ছি। রোববারই তো তুমি আমার বউ হবে। আমি তোমাকে ভালবাসি এবং আমি তাতে খুশি। ওদিকে পিতানা যখন ফুটবল খেলোয়াড়রদের দিকে দৃষ্টি রেখেছেন, তখন তার স্ত্রী একটি প্রাপ্তবয়স্কদের সাইটে নিজের ক্যারিয়ার গড়ছিলেন। রোমিনা প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া তার ছবি পোস্ট দিয়ে ভক্তদের দৃষ্টি কাড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সহসাই ওই সাইটে রগরগে, খোলামেলা ছবি দিয়ে তিনি সবার নজরে আসেন। এসব ছবি দেখে একসময় ওই সাইটের ব্যবহারকারীরা তো তাকে ‘ডিভাইন ট্রেজার’ বা স্বর্গীয় ধনভাণ্ডার বলে অভিহিত করেন। এবার যখন কাতার বিশ্বকাপে চূড়ান্ত বাঁশি বাজবে, তখন তিনি থিতু হবেন। এ জন্য রোমিনাও ওই সাইটে তার রগরগে ছবি পোস্ট করার সিদ্ধান্ত ধীর করে আনতে পারেন।