ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিশ্বজমিন

ভারতে সমকামী দুই যুবতীর বিয়ের অপেক্ষা

মানবজমিন ডেস্ক

(১ বছর আগে) ২৬ নভেম্বর ২০২২, শনিবার, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:১২ পূর্বাহ্ন

mzamin

ভারতের কেরালা। সেখানকার দুই সমকামী নারী তাদের ‘বিয়ের ফটোশুট’ শেয়ার করেছেন। এ বছরের শুরুর দিকে তারা সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলেন। এই দুই যুবতীর নাম আদিলা নাসরিন এবং ফাতিমা নুরা। দু’যুবতীর অন্তরঙ্গতার খবর জানতে পেরে তাদের পরিবারের সদস্যরা জোর করে তাদেরকে আলাদা করে দেয়। কিন্তু দক্ষিণের রাজ্য কেরালার এক কোর্ট তাদেরকে আবার পুনর্মিলিত করে। তখন এ নিয়ে বিস্তর রিপোর্ট প্রকাশ পায়। দুই যুবতীর পরিবারের পক্ষ থেকে যে বাধা এসেছিল, তার বিরুদ্ধে তারা আদালতে পিটিশন করেন। ফলে গত মাসে আবার তারা সংবাদ শিরোনাম হন। এ সময় তারা বিয়ের ফটোশুটের কারণে।

বিজ্ঞাপন
এসব ফটোশুটে তারা বিয়ের কনে হিসেবে পোজ দিয়েছেন। 

সিলভার কালারের স্বর্ণালংকার এবং বাদামী-গভীর নীল লেহেঙ্গা পরে পোজ দেন। তারা আংটি বদল করেন। এরনাকুলাম জেলার সমুদ্রসৈকতে মালা বদল করেন।  ফাতিমা নুরার বয়স ২৩ বছর। তিনি এসব ছবি পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। ক্যাপশনে লিখেছেন- ‘অ্যাচিভমেন্ট আনলকড: টুগেদার ফরএভার’। এর পর থেকেই অভিনন্দন বার্তায় ভাসছেন তারা। 

এ নিয়ে আদিলা নাসরিন বলেছেন, আমরা শুধু ফটোশুট করেছি। কারণ, মনে হয়েছে এটা খুব আনন্দের বিষয়।  এরকম ফটোশুট করতে আরও যুগল ছিলেন সেখানে। তার মধ্যে নাসরিন ও নুরা অন্যতম। নাসরিন বলেন, এখনও আমরা বিয়ে করিনি। কিন্তু অনেক সময় ভেবেছি, বিয়েটা করেই ফেলবো। 
অধিকারকর্মী এবং এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের কয়েক দশকের আইনি লড়াই শেষে ২০১৮ সালে সমকামী বিয়ে অপরাধ নয় বল রায় দেয় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। বছরে পর বছর, এ সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। তবে তারা এখনও নানা রকম প্রতিবন্ধকতার মুখে। তাদেরকে মেনে নেয়া হয় না। এসব বিষয় জানেন নুরা এবং নাসরিন। তারা বলেন, এখনও নুরার পরিবার থেকে তাদেরকে আলাদা হওয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। 

ভারতে সমকামী বিয়েতে এখনও কোনো আইনি বৈধতা নেই। তবে দিল্লি হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি এখনও বিবেচনাধীন আছে। তবে বহু সমকামী যুগল এরই মধ্যে এমন বিয়েতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা এমন প্রতিশ্রুতিতে অংশগ্রহণ করছে।  নুরা এবং নাসরিনকে একসঙ্গে থাকার অনুমোদন দিয়েছে কেরালা হাইকোর্ট। তবে বিবাহিত দম্পতি ভারতে যেসব সুযোগসুবিধা এবং অধিকার ভোগ করেন, তারা তা পাবেন না। নাসরিন বলেন, আমরা যেকোনো ফরম পূরণ করতে গেলে সেখানে স্বামী, স্ত্রী বা বাবার নাম জানতে চাওয়া হয়। কাজে এবং সর্বত্র আমাদেরকে পিতার নাম ব্যবহার করতে হয় এখনও। সম্প্রতি আমরা একটি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানেও আমাকে পিতার নাম ব্যবহার করতে হয়েছে। এটা হতাশাজনক। 

নুরা এবং নাসরিনের সাক্ষাৎ একটি হাইস্কুলে। এরপর তারা ঘনিষ্ঠ হতে থাকেন। তাদের পরিবার কেরালার বিভিন্ন স্থানে বসবাস করার কারণে স্কুল ত্যাগ করতে হয়। পরিচয়ের তিন বছরের মধ্যে তারা আলাদা হয়ে যান। তাদের মধ্যে মাঝে মাঝে ফোনে কথা হতো। চ্যাটিং করতেন। এক পর্যায়ে সাপোর্ট গ্রæপর সঙ্গে যোগাযোগ করেন তারা। বলা হয়, প্রথমে শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করে একটি কাজের ব্যবস্থা করতে। অন্যরাও তাদেরকে এই পরামর্শ দিয়েছেন। এখন তাদের বয়স ৪০ বছর। তারা এখনও অপেক্ষা করছেন একে অন্যকে বিয়ে করবেন।

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status