বিশ্বজমিন
এবার টুইটার বোর্ডের সকল সদস্যকে ছাঁটাই করলেন মাস্ক
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ১ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার, ১১:০১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:৫৬ অপরাহ্ন
টুইটারের পরিচালনা বোর্ডের সকল সদস্যকে বরখাস্ত করেছেন ইলন মাস্ক। ফলে এখন তিনি একাই টুইটারের সকল দায়িত্ব সামলাবেন। যেভাবে যা করতে চাইবেন, তিনি তাই করতে পারবেন। মাস্ক টুইটার কিনে নেয়ার পর থেকেই সবাই আশঙ্কা করছিল বিষয়টি। তিনি যে গণছাঁটাইয়ের পথেই হাটছেন তা এখন স্পষ্ট। ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরুর জন্য কর্মীদের নামের তালিকা চেয়েও পাঠিয়েছেন তিনি। প্রথমেই সিইও পরাগ আগারওয়ালকে ছাটাই করলেন মাস্ক। এরপর বরখাস্ত করলেন পরিচালনা বোর্ডকেও। টুইটারকে নিজের মতো ঢেলে সাজানোর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন তিনি।
আল-জাজিরার খবরে জানানো হয়েছে, মাস্কের টুইটার কেনা বিশ্বজুড়ে নতুন একটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, মাস্কের অধীনে থাকা টুইটারে কোনো বাকস্বাধীনতা থাকবে না।
তবে বরাবরই টুইটারের নানা নীতির সমালোচনা করেছেন তিনি। এর আগে যারা টুইটারের দায়িত্বে ছিলেন তারা বামপন্থী নানা মতাদর্শ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াটি পরিচালনা করতো বলে অভিযোগ তার। ধারণা করা হচ্ছে, মাস্ক এখন নিজে দায়িত্ব নিয়ে তার মতো করে এটি সাজাবেন। যদিও মাস্ক এখনও প্ল্যাটফর্মের জন্য তার সঠিক পরিকল্পনা প্রকাশ করে নাই। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি টুইটারের নানা নিয়ম সহজ করে দেবেন। পাশাপাশি কর্মীদের একাংশকে ছাটাইও করবেন তিনি।
সম্প্রতি টুইটারের ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া বা ব্লু টিক অর্জনের প্রক্রিয়ায় বদল আসতে চলেছে বলেও তিনি নিজেই জানান। এ বার থেকে যারা টুইটারের ‘ব্লু মেম্বার’ অর্থাৎ যাদের টুইটারের সাবস্ক্রিপশন রয়েছে তাদের মধ্যেই ‘ব্লু টিক’ সীমাবদ্ধ রাখা হবে। এই সাবস্ক্রিপশনের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হয়। সেই খরচও বাড়িয়ে দেয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সাবস্ক্রিপশনের খরচ বেড়ে হবে ১৯.৯৯ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য ২০০০ টাকা। এই টাকা না দিলে যাদের ইতিমধ্যে ব্লু টিক রয়েছে, তারাও তা হারাতে পারেন। যদিও ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় ঠিক কী কী বদল আনা হচ্ছে তা স্পষ্ট করে জানাননি মাস্ক।
তিনি টুইটার কেনার আগে থেকেই এর বিজ্ঞাপন নির্ভরতা নিয়ে অস্বস্তির কথা জানিয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি সেভাবেই পরিবর্তন নিয়ে আসবেন। তিনি টুইটারের একটি আলাদা ভার্সনও নিয়ে আসতে পারেন যেখানে সিনেমার মতো রেটিং সিস্টেম থাকবে। মাস্কের মাথায় আর কি কি চিন্তা চলছে তা জানতে আরও কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।