দেশ বিদেশ
৩০ টাকা দরে চাল পেতে নিম্নবিত্তদের দুর্ভোগ
উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার
মন্দা দিনকাল কাটছে শাবানার। অন্যের বাড়িতে কাজ করে ১ বেলা খাবার আর নগদ ৫০ টাকা মাইনে পান প্রতিদিন। ৩ দিন কাজ করে ১৫০ টাকা যোগাড় করে চাল নিতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন পৌর পার্কের ওএমএস কেন্দ্রে। সকালে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। দুপুর প্রায় যায় যায় চাল পাবেন কিনা তাও জানেন না। প্রতি সপ্তাহের ৫ দিন চাল বিক্রি করলেও লাইন থাকে দীর্ঘ। শাবানার বাড়ি বোয়ালীতে। প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে এসে লাইন ধরেছেন। অনেক দিন চাল পাননি। তিনি কোনো কথা বলতে রাজি না। ছবি তুলতেই বলেন, ‘হামরা গরিব মানুষ, হামার ফটোক তুলি কি করবেন?’ সংসারের ৩ জনের মুখের খাবার যোগাতে হয় এই দিয়েই শাবানাকেই। স্বামী মারা গেছে। নিজে খেটে যা জোগাড় হয় তাই দিয়ে পার করেন। তিনি বলেন, ‘তিনদিন কাম করি ওএমএএস’র চালের লাইনে দাঁড়িয়েছি। চাল না হয় হলো কিন্তু তরকারি নাই। কোনোদিন আয়োডিন যুক্ত লবণও কিনতে পারেনি। তাই কমদামি গরু খাওয়া লবণ-ভাত পেটে যায়। বেলা ২টার পর লাইনে দাঁড়িয়ে ৫ কেজি চাল হাতে পাওয়ার পর খুশিতে গদগদ শাবানা। তাও ভালো চাল থাকলে আর চিন্তা নাই। কিন্তু চাল কেনার ট্যাকা যোগাড় করাই কঠিন হয়েছে।’ ওএমএস ডিলার আলম মিয়া বলেন, রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে চাল কিনছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। এদের মধ্যে মহিলার সংখ্যাই বেশি। সে কারণে নিমিষেই চাল বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। জেলা খাদ্য কর্মকর্তা অন্তরা মল্লিক বলেন, দরিদ্র মানুষের মধ্যে ৩০ টাকা কেজিতে চাল সরবরাহের জন্য গাইবান্ধায় ৯, গোবিন্দগঞ্জে ৪, পলাশবাড়ীতে ৩, সুন্দরগঞ্জে ৩, ফুলছড়িতে ২, সাঘাটায় ২ ও সাদুল্ল্যাপুর উপজেলায় ২জন করে মোট ২৫ জন ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। এসব ডিলারের মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি করে চাল বিক্রি করা হচ্ছে।