দেশ বিদেশ
সোয়াতে পানির তোড়ে ভেসে গেল মানুষ, মৃত্যু বেড়ে ১১, নিখোঁজ ২
মানবজমিন ডেস্ক
২৯ জুন ২০২৫, রবিবার
পাকিস্তানের সোয়াত নদীতে ভয়াবহ পানির তোড়ে ভাসিয়ে নেয়া মানুষের মধ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ তে দাঁড়িয়েছে। শনিবার সকালে আরও একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী দল। এখনো নিখোঁজ দু’জন। তাদের সন্ধানে অভিযান চলছিল। শুক্রবার নদীর পাশে পিকনিকে যাওয়া শিয়ালকোটের একটি পরিবারের ১৭ সদস্য আকস্মিকভাবে পানির স্রোতে ভেসে যান। তাৎক্ষণিক চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হন। এর মধ্যে ১১ জনের মৃতদেহ ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকারীদের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, খওয়াজাখেলা, কাবাল বাইপাস এবং বারিকোট- এই তিনটি এলাকায় একযোগে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযান চালাচ্ছেন সোয়াত, মালাকান্দ এবং শাংলা থেকে আগত মোট ১২০ জনের বেশি প্রশিক্ষিত উদ্ধারকর্মী। উদ্ধার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে স্পিডবোট ও ডুবুরি-যন্ত্রসহ অন্য সরঞ্জাম। এদিকে, খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর মুখপাত্র ফারাজ আহমদ মুঘল জানান, ঘটনাটি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সোয়াত নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনকে তিনদিনের মধ্যে এসব অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্ডাপুর। মুখপাত্র আরও জানান, স্থানীয় সব হোটেলকে স্থায়ীভাবে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, যাতে পর্যটন ব্যবস্থার সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা যায়। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গভর্নর ফয়সাল করিম কুণ্ডি কড়া সমালোচনা করেছেন প্রাদেশিক সরকারের। এক্সে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, এটি কেবল অযোগ্যতা নয়, বরং দায়িত্ব পালনে লজ্জাজনক ব্যর্থতা। এক ভিডিও বার্তায় তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বলেন, আপনি নিজেই পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন, এই দুর্যোগের দায় এড়াতে পারেন না। প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফসহ দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।