দেশ বিদেশ
এবার মাদক মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন পুলিশ ও ব্যবসায়ী
স্টাফ রিপোর্টার
১৬ জুন ২০২৫, সোমবাররাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও দুইজন। তারা হলেন- পুলিশের এসআই মুসা মিয়া ও ব্যবসায়ী শাহাদাত আলম। রোববার ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। এরপর আদালত মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৪ই আগস্ট দিন ধার্য করেছেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পিপি মাহফুজ হাসান বলেন, এই নিয়ে এই মামলায় মোট তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। এর আগে, গত ৭ই মে মামলার বাদী র্যাব-১ এর তৎকালীন উপ-পরিচালক (ডিএডি) আব্দুল খালেক সাক্ষ্য দেন। এর আগে গত ৩০শে জানুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।
নথি থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৬ই অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীতে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় কার্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়। বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওইদিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেয়া হয়। ৭ই অক্টোবর বিকালে র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক মামলা করেন। অস্ত্র আইনের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৬ই নভেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক। একই বছরের ৯ই ডিসেম্বর মাদক মামলায় সম্রাট এবং আরমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক আ. হালিম। চলতি বছরের ৩০শে জানুয়ারি ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মজুমদার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। অভিযোগ গঠনের সময় সম্রাট ও আরমান পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।