৫ মিলিয়ন ডলারের ‘ট্রাম্প কার্ড’ বিক্রির জন্য আমেরিকায় চালু হলো ওয়েবসাইট

কথামতো কাজ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প গত ফেব্রুয়ারিতে বিদেশিদের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ‘গোল্ড কার্ড’ বিক্রির ঘোষণা দেন। তিনি বলেছিলেন, মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রথম ধাপ হিসেবে যে কেউ এই কার্ড পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ‘গোল্ড কার্ড’ বিক্রির জন্য বৃহস্পতিবার থেকে নতুন  ওয়েবসাইট চালু করলো ট্রাম্প প্রশাসন। তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফরমে একটি পোস্টে, ট্রাম্প ওয়েবসাইটের একটি লিঙ্ক শেয়ার করেছেন- যেখানে ভিসাটিকে ‘দ্য ট্রাম্প কার্ড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তার পোস্টে, ট্রাম্প দাবি করেছেন, ‘হাজার হাজার মানুষ ফোন করে জিজ্ঞাসা করছেন কীভাবে তারা এই প্রোগ্রামে সাইন-আপ করতে পারেন।’ যদিও ওয়েবসাইটটিতে তথ্যের অভাব রয়েছে, ‘ট্রাম্প কার্ড’ কখন পাওয়া যাবে তার কোনো তারিখ উল্লেখ করা হয়নি, কেবল উল্লেখ করা হয়েছে যে এটি ‘আসছে’। ওয়েবসাইটের সাইন-আপ ফরমটিতে লোকদের তাদের নাম, তারা কোন অঞ্চল থেকে এসেছেন, তারা কোন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এবং তারা নিজের জন্য নাকি অন্য কারও জন্য সাইন-আপ করছেন, তা শেয়ার করতে বলা হয়েছে।
সাইট অনুসারে, যারা সাইন-আপ করবেন তাদের ভিসার জন্য অ্যাক্সেস করার  মুহূর্তটি সম্পর্কে অবহিত করা হবে। সাইটটিতে ‘ট্রাম্প কার্ড’-এর একটি ছবিও রয়েছে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের  একটি ছবি এবং স্বাক্ষর রয়েছে- যার একটি সংস্করণ তিনি এপ্রিল মাসে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সফরকালে সাংবাদিকদের দেখিয়েছিলেন। ট্রাম্প ফেব্রুয়ারিতে গোল্ড কার্ডের ঘোষণা দেয়ার সময় বলেছিলেন, এটি গ্রিন কার্ডধারীদের মতোই সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবে, অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের অধিকার মিলবে। ট্রাম্প যুক্তি দিয়েছিলেন যে, কার্ডটি ‘ধনী ব্যক্তিদের’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করার একটি উপায়। ট্রাম্প দাবি করেছেন যে, এই কর্মসূচি চালু করার জন্য তার কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, সুবিধাভোগীদের সরাসরি নাগরিকত্ব কেনার পরিবর্তে দ্রুত নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ প্রশস্ত করতেই এই গোল্ড কার্ডের আয়োজন। 
ঘোষণার সময়, প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন যে, গোল্ড কার্ড প্রোগ্রামটি দুই সপ্তাহের মধ্যে চালু করা যেতে পারে। কিন্তু তারপর থেকে, সময়সীমা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য খুব কমই পাওয়া গেছে। গত মাসে, বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ক, যিনি সেই সময়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সরকারি দক্ষতা বিভাগের প্রধান ছিলেন, এক্সে লিখেছিলেন যে,  ‘সিস্টেমটি সঠিকভাবে কাজ করে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য প্রোগ্রামটি এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে আছে।’ মাস্ক আরও বলেন: ‘এটি সম্পূর্ণরূপে পরীক্ষা করা হয়ে গেলে, প্রেসিডেন্টের ঘোষণার মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।’ 
তবে এই পরীক্ষা কবে শেষ হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। ‘দ্য ওয়্যার’ গত মাসে জানিয়েছে যে, কাস্টমস এবং বর্ডার পেট্রোলের ‘গ্লোবাল এন্ট্রি’  প্রোগ্রামে সাইন-আপ করা কিছু ‘মার্কিন স্থায়ী বাসিন্দা এবং বিদেশি দর্শনার্থীদের’ জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে যে, তারা ‘ট্রাম্প কার্ড ভিসার’ জন্য আবেদন করেছেন কিনা। নতুন ট্রাম্প কার্ড ওয়েবসাইটে লঞ্চের তারিখ এখনো উল্লেখ করা হয়নি।
সূত্র: ফোর্বস