দেশ বিদেশ
২০২৭ সালে আসছে নতুন শিক্ষাক্রম
স্টাফ রিপোর্টার
৫ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার২০২৭ সালে নতুন শিক্ষাক্রম আসছে। ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে শিক্ষার্থীরা নতুন এই শিক্ষাক্রমে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার। তিনি বলেন, সামান্য ভুলসহ পাঠ্য বই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে আমার মন সায় দিচ্ছে না।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা আরও বলেন, সময় স্বল্পতার কারণে ২০২৬ সালের বই চলমান বছরের কারিকুলাম অনুযায়ী ছাপানো হবে। এতে যেসব সাধারণ ভুলভ্রান্তিগুলো ছিল সেগুলো ঠিক করে আগামী বছরের শুরুতেই যাতে শিক্ষার্থীরা পাঠ্য বই হাতে পায় তার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাই যত কষ্টই হোক বইগুলো যত্ন এবং দায়িত্বের সঙ্গে নির্ভুল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আশাবাদী এনসিটিবি এ গুরুদায়িত্ব পালন করতে পারবে।
তিনি আরও আগামী জুলাই মাস থেকে কলেজ শিক্ষকদের অনলাইনে বদলি প্রক্রিয়া শুরু হবে। দেশে বেকার সমস্যা সমাধানে কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। আমরা চামড়া শিল্প, ওষুধ শিল্প, সিরামিক শিল্পসহ নানা খাতের শিল্প বিশেষজ্ঞ ও প্রতিনিধি নিয়েও আলাপ-আলোচনা করেছি। আমরা মনে করি কারিগরি শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ সীমিত। বিষয়গুলো সমাধানে আমরা কাজ করবো। উপদেষ্টা বলেন, দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ পদে নিয়োগের প্রয়োজনে আমরা একটি ভিসি নির্বাচনী প্যানেল তৈরি করেছি। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রদান এবং ইচ্ছুকদের আবেদনপত্র গ্রহণের মাধ্যমে ভিসি নিয়োগ প্রদান করা হবে। আমরা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি, এবং বিজ্ঞ অধ্যাপকদের সমন্বয়ে সার্চ কমিটি গঠন করেছি। আমি আশাবাদী, আপনাদের সকলের সহযোগিতায় যদি যোগ্যতা এবং কম্পিটিশনের ভিত্তিতে ভিসি নিয়োগের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারি, তবে আমার যে স্বপ্ন দেশে বসেই আগামী জেনারেশন বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে সে পথে এগুতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষকদের সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার সমপ্রতি ২০০০ কোটি টাকার বন্ড এবং ২০০ কোটি টাকার নগদ বরাদ্দ দিয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত করতে জিরো টলারেন্স নীতি অবস্থানে আছি আমরা। ব্যক্তিগতভাবে তাকে একটি বদলির জন্য এক কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। একটি বড় পদের পদায়নের জন্য আমার কাছে তদবির এসেছিল। তার জন্য প্রথিতযশা একজন ব্যক্তি তদবির করেছিলেন। পরে তার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখি তিনি ওই পদের জন্য যোগ্য নন। তখন আমরা তাকে প্রত্যাখ্যান করি। পরবর্তীতে তিনি অন্য মাধ্যমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন এবং এক কোটি টাকা অফার করেছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব ড. খ. ম. কবিরুল ইসলাম, ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খোন্দকার এহসানুল কবিরসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত
৯ম ও ১০ম শ্রেণীর পদার্থ বিদ্যা ড, শাহজাহান তপনের মার্চ ১৯৯৬ সালের বইটি আবার সিলেবাসে অর্ন্তভূক্ত করা উচিৎ ।