শপথের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের কাজ গেজেট প্রকাশ করা পর্যন্ত। শপথের বিষয়টি স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন আইনের ৭ ধারায় পরিষ্কারভাবে বলা আছে কারা এটা বাস্তবায়ন করবে। আমরা চিঠির মাধ্যমে যেটা বলেছি যে, এখানে যদি কোনো আইনি জটিলতা না থাকে কিংবা অপরাপর কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকে তাহলে আমরা তাদের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেছি। যখন আমরা গেজেটটা করেছি, তার কাভার লেটারেই এটা দেয়া আছে। গতকাল বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভা শেষে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। শপথ পড়ানোর বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বা আপিল বিভাগকে আবারো কোনো চিঠি দেবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, আমরা আর কোনো চিঠি দেয়ার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছি না। এদিকে ইতিমধ্যে এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, সেক্ষেত্রে এখন কী হবে? এ বিষয়ে ইসি’র দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, এগুলো আইনি ব্যাপার। আইনি বিষয়গুলো উনারা (স্থানীয় সরকার বিভাগ) দেখবেন। ইশরাক হোসেন ইস্যুতে উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণটি বিশদভাবে আলোচনা করেছি। আপিল বিভাগ এখানে আমাদের ইসি’র স্বাধীনতা এবং সুপ্রিমেসি অন ইলেকশন মেটার্স এস্টাবলিস্ট করেছেন এবং এখানে পাঁচটি ডিএলআর’র রেফারেন্স দিয়েছেন। আমরা ডিএলআর’র রেফারেন্স দেখেছি। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ভার্সেস ইলেকশন কমিশনের একটা ডিএলআর’র একটি রেফারেন্স দেয়া হয়েছে। আরেকটি হচ্ছে- মাহমুদুল হক ভার্সেস হেদায়েত উল্লাহর ডিএলআর’র রেফারেন্স দেয়া হয়েছে। এই ডিএলআর’র রেফারেন্সগুলোতে যেটা বলা আছে, নির্বাচন প্রসেস শুরু হয় তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে এবং সম্পন্ন হয় ফল গেজেট আকারে প্রকাশের মাধ্যমে। এজন্য আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব সম্পন্ন করেছে এবং গেজেট যেহেতু বহাল আছে বিধায় আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশনের কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।