বাংলারজমিন
সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
৩১ মে ২০২৫, শনিবার
সুনামগঞ্জ জেলার নদীসমূহের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সুরমা-কুশিয়ারা অববাহিকার উপ-নদীসমূহ যেমন- সারিগোয়াইন, মনু, ধলাই, খোয়াই ও সোমেশ্বরী নদীসমূহের পানি আগামী তিনদিন বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী তিনদিন এই অববাহিকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এই সময়ে নদীসমূহের পানি বিপদসীমাও অতিক্রম করতে পারে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে। আগামী তিনদিন এই অববাহিকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
এদিকে, ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার বাংলাদেশের উজানে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে উজানে ঢলের পানি নামার পরিমাণ স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যাবে ও জেলার নদী এবং হাওরের পানি বৃদ্ধি পাবে। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশের উজানে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে ৪৭.০ মি.মি, নংস্টোইনে ১২.০২ মি.মি, তুরায় ৫৪.৫ মি.মি এবং শিলংয়ে ১০.০ মি.মি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার পূর্ব খাসি পাহাড়, পশ্চিম খাসি পাহাড়, দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি পাহাড়, পূর্ব-পশ্চিম খাসি পাহাড়, পূর্ব জৈন্তিয়া পাহাড়, পশ্চিম জৈন্তিয়া পাহাড় এবং পূর্ব গারো পাহাড় জেলার বিচ্ছিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। মেঘালয়ে অনেক জায়গায় ৪০-৬০ কি.মি/ঘণ্টা বেগের ঝড়ো বাতাসের সম্ভাবনা রয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত যা অব্যাহত থাকবে। আগামী ৩১শে মে পশ্চিম খাসি পাহাড়, পূর্ব-পশ্চিম খাসি পাহাড়, রি বোই এবং দক্ষিণ গারো পাহাড় জেলার কয়েকটি স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ও মেঘালয়ের বিভিন্ন স্থানে ৩০-৪০ কি.মি/ঘণ্টা গতির ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর বৃষ্টিপাতের তীব্রতা কমে আসবে। তবে, ১লা জুন ও ২রা জুন বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বৈরী আবহাওয়া করে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে উজানের পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, মধ্যনগরের নদী ও হাওরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।