বাংলারজমিন
কেরানীগঞ্জে ফরেস্ট বেস পদ্ধতিতে ১৫ হাজার কোরবানির গরু প্রস্তুত
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ফরেস্ট বেস পদ্ধতিতে কোরবানির ১৫ হাজার গরু প্রস্তুত করছেন খামারিরা। কেরানীগঞ্জে ১৫ হাজার গরু দিয়ে এলাকাবাসীর কোরবানির চাহিদা মিটবে বলে আশা করছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। এ বছর খামারিরা এ পদ্ধতিতে গরুর দানাদার খাবার পাশাপাশি ঘাস খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করেছে। এতে গরুর স্বাস্থ্য যেমন ভাল থাকে তেমনি খরচও কম হয়। গরুর দানাদার খাবারের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা অথচ এক কেজির ঘাসের দাম পড়ে ৭ থেকে ৮ টাকা। জানা যায়, কেরানীগঞ্জে বাণিজ্যিক ও মৌসুমী মোট প্রায় ৫ শত খামার রয়েছে। অনেক খামারী মাঠে ঘাস চাষ করেছেন গরুকে খাওয়ানোর জন্য। খামারের রাখালরা জানান, সকালে তারা গরুর গোবর পরিষ্কার করে। পরে তারা গরুকে দানাদার খাবার ভুট্টা গম ছোলা দেয় এরপরে তারা গরুকে ঘাস খেতে দেয়। বিকাল বেলা গরুকে আবার খাবার দেয়া হয়। খামারে অবস্থানরত পশু ডাক্তার এসিস্টেন্টরা জানান, গরুর সাধারণত মাঝে মধ্যে জ্বর হয় জ্বর আসলে তারা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে জানান তিনি ডাক্তার পাঠিয়ে পশুর চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। শরিফ এগ্রো ফার্মের ম্যানেজার সজিব মিয়া জানান, তারা অর্গানিকপদ্ধতিতে এ বছর গরু মোটা তাজা করন করেছেন। এতে তাদের গরুর খাবারে খরচা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। তিনি আরও জানান, তাদের ফার্মের ৬০% গরু বিক্রি হয়ে গেছে। ক্রেতারা ফার্মে এসে ৪০% টাকা অগ্রিম দিয়ে গরু ক্রয় করে যান এবং বাকি টাকা কোরবানির দু’একদিন আগে দিয়ে গরুর ডেলিভারি নিবেন।
অপরদিকে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল সাত্তার বেদ জানান, কেরানীগঞ্জে মৌশমিক ও বাণিজ্যিক মিলিয়ে ৫০০ খামারি রয়েছে। তারা ফরজ পদ্ধতিতে এ বছর ১৫ হাজার গরু প্রস্তুত করেছেন কোরবানির জন্য। তিনি জানান, কেরানীগঞ্জ ঢাকার পার্শ্ববর্তী হওয়ায় অনেক সময় ঢাকা থেকে অনেক ক্রেতা আসেন তখন কোরবানির গরু চাহিদার সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে কোনো খামারিকে অবৈধভাবে গরু মোটাতাজাকরণ করতে দেয়া হবে না বলে জানান তিনি।
পাঠকের মতামত
ফরেষ্ট বেস পদ্ধতিতে খরচ যেহেতু কম হয়েছে, গরুর দাম কি কম হবে ?