বাংলারজমিন
হবিগঞ্জ-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণ কাজ দ্রুত শুরুর দাবি
স্টাফ রিপোর্টার, হবিগঞ্জ থেকে
২ জুন ২০২৫, সোমবারহবিগঞ্জ জেলাবাসীর জন্য হবিগঞ্জ-লাখাই-নাসিরনগর-সরাইল আঞ্চলিক মহাসড়কটি অতিগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। এ সড়কটি হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জ জেলার কয়েকটি উপজেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যাতায়াত সহজ করেছে। প্রতিদিন অর্ধলক্ষাধিক যানবাহন ও কয়েক লাখ মানুষ দৈনিক এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। ৪ জেলার মধ্যে আর্থ-সামাজিক, কৃষি ও শিল্পসংশ্লিষ্ট যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সড়ক উন্নয়ন ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সঙ্গে বিকল্প ও কার্যকর সংযোগ গড়ে তোলার মাধ্যমে আঞ্চলিক অর্থনীতিকে বেগবান করবে। পণ্য পরিবহন সহজ হবে, স্থানীয় জনগণের ভ্রমণ ব্যয় ও সময় সাশ্রয় হবে এবং সড়ক নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু সড়কটির নাসিরনগর-সরাইল অংশ কাজ শুরু করলেও হবিগঞ্জ-লাখাই অংশ প্রকল্প থেকে বাদ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অথচ প্রকল্পটি হবিগঞ্জ সড়ক বিভাগের অধিন। এমন খবর চাউর হলে লাখাই উপজেলাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দেয়। বিক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসী শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে প্রকল্পের হবিগঞ্জ-লাখাই অংশের কাজ দ্রুত শুরু করার দাবি জানান। দুপুরে হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামছুল ইসলাম, স্থানীয় মুরুব্বি আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার আবদাল, এডভোকেট আয়াতুল ইসলাম। পরে তারা জেলা প্রশাসকের নিকট একটি স্মারকলিপি দেন। বক্তারা বলেন, সব প্রক্রিয়া শেষ করে এখন এসে প্রকল্প থেকে হবিগঞ্জ-লাখাই অংশটি বাদ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। যদি প্রকল্পের হবিগঞ্জ-লাখাই অংশ প্রকল্প থেকে বাদ দেয়া হয় তবে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবেন। প্রয়োজন ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধের হুঁশিয়ারিও দেন তারা। এডভোকেট শামছুল ইসলাম বলেন, বার বার হবিগঞ্জবাসীর সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে বিমাতাসুলভ আচরণ করা হচ্ছে। ক’দিন পর পরই একেকটি প্রকল্প বাতিল করা হচ্ছে। এটি কোনো অদৃশ্য ষড়যন্ত্র বলে আমরা মনে করছি। তবে যেকোনো ষড়যন্ত্র আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করবো। তিনি বলেন, এ সড়কটি উন্নয়ন হলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে সিলেট বিভাগের দূরত্ব কমবে প্রায় ৪০ কিলোমিটার। যাতায়াত খরচও কমবে। এ সড়কের পাশে বিভিন্ন শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।