বাংলারজমিন
মেঘনায় ট্রলার ডুবিতে ২ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ২
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
২ জুন ২০২৫, সোমবারনোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ঝড়ো বাতাস ও ঢেউয়ের তোড়ে পড়ে ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত এক রোহিঙ্গা নারীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম (২৮) ও এক রোহিঙ্গা শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে। নিহতরা হলেন- ভাসানচর থানার সাব-পোস্টমাস্টার ও ফেনীর পৌর দৌলতপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৩) ও ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬১ নং ক্লাস্টারের মো. তারেকের স্ত্রী হাসিনা খাতুন (২৫)। রোববার (১লা জুন) দুপুরের দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা। এর আগে, গতকাল শনিবার (৩১শে মে) বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার করিম বাজার সংলগ্ন ডুবারচরের মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে নিখোঁজরা হলেন, সুধারাম থানার পুলিশ কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম (২৮) ও ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬১ নং ক্লাস্টারের মো. তারেকের ছেলে মো. তামিম (৩)। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুপুর ২টার দিকে ভাসানচর থেকে ৪ জন পুলিশ সদস্য, রোহিঙ্গা রোগী, আনসার সদস্য ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার লোকসহ ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। যাত্রা পথে ভাসানচর থেকে ৭-৮ কিলোমিটার দূরে গিয়ে করিমবাজার সংলগ্ন ডুবারচরের মেঘনা নদীতে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা মানবজমিনকে বলেন, ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এর মধ্যে ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। একজনকে উদ্ধারের পর সে মারা যান। রোববার সকালে লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে এক রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এক পুলিশ সদস্যসহ এখনো ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। কোস্টগার্ড বর্তমানে নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।