দেশ বিদেশ
বরিশাল মহানগরের ২ হাজার ৪১১ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার তুলে দিলো বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র
স্টাফ রিপোর্টার
১৭ মে ২০২৫, শনিবার
শুক্রবার বরিশাল নগরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন বালক উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আয়োজিত গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য পুরস্কার বিতরণ উৎসবে ৩৬টি স্কুলের ২ হাজার ৪১১ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। এই পুরস্কার বিতরণ উৎসবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খন্দকার মো. আসাদুজ্জামান, অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও সাবেক ট্রাস্টি, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, মো. সোহরাব হোসেন, (যুগ্ম সচিব), অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক), বরিশাল, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসাইন, আঞ্চলিক উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা, মো. হারুনুর রশীদ, জেলা শিক্ষা অফিসার, বরিশাল, গাব্রিয়েল গাইন, প্রধান শিক্ষক, ব্যাপ্টিস্ট মিশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়, সানুয়ার হোসেন, সার্কেল হেড, বরিশাল ডিভিশন, গ্রামীণফোন লিমিটেড ও শামীম আল মামুন, পরিচালক, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে দিনব্যাপী এই পুরস্কার বিতরণ উৎসব শুরু হয়। শুভেচ্ছা বক্তব্য পর্বে অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাবেক ট্রাস্টি খন্দকার মো. আসাদুজ্জামান পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বই পড়লে মন ভালো থাকে, উৎফুল্ল থাকে, মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। যে বই আমাদের স্বপ্ন যোগায়, সেই বই আমাদের পড়া উচিত। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, মানুষকে সকল সৃষ্টির চেয়ে আলাদা বা শ্রেষ্ঠ বলা হয়েছে তার জ্ঞানের জন্য কিন্তু বই না পড়লে জ্ঞান সমৃদ্ধ হয় না। তাই বই পড়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে পারি। বরিশালের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুনুর রশীদ পুরস্কারপ্রাপ্ত সকল শিক্ষার্থীর প্রশংসা করেন এবং অভিনন্দন জানান। ব্যাপ্টিস্ট মিশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাব্রিয়েল গাইন পুরস্কারপ্রাপ্ত সকল শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, যারা আজ এখানে উপস্থিত সেই শিক্ষার্থীরা অন্য সব শিক্ষার্থী থেকে আলাদা; কারণ তারা বই পড়ছে এবং বই পড়ার জন্য পুরস্কার পাচ্ছে। গ্রামীণফোনের বরিশালের সার্কেল প্রধান সানুয়ার হোসেন বলেন, তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের মধ্যে যেন মানবিক ও মানসিক উৎকর্ষতার বিকাশ ঘটে, এজন্য গত দুই দশক ধরে এই মহতী উদ্যোগের পাশে আছে গ্রামীণফোন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন স্বাগত বক্তব্যে বছর জুড়ে বইপড়া কর্মসূচি সফলভাবে পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, সংগঠক ও পৃষ্ঠপোষকদের ধন্যবাদ জানান।