বিনোদন
১০ টাকা পারিশ্রমিকে প্লেব্যাক করতে চান রেজা করিম
স্টাফ রিপোর্টার
(২ সপ্তাহ আগে) ২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৫:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:৫২ অপরাহ্ন

রেজা করিম। সংগীতাঙ্গনে খুব বেশি পরিচিত নাম না হলেও সম্প্রতি ‘বাউলা বাতাসে’ শিরোনামের একটি গান দিয়ে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন তিনি। পেশায় সাংবাদিকতা হলেও নেশা গানে। গানের মাঝেই ডুবে থাকেন এই সংগীত শিল্পী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে গানের প্রেমে পড়েন রেজা। সেখানেই ব্যান্ডদল গঠন করেন। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত তিনি। বেশ কয়েকটি গানের অ্যাালবামও রয়েছে রেজা করিমের। কিন্তু সাংবাদিকতায় নাম লিখিয়ে অনেকটা খেই হারিয়ে ফেলেন। চর্চায় ছিলেন না নিয়মিত। রেজা করিম বলেন, সংগীতের সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী থাকাকালীন ‘অরণি সাংস্কৃতিক সংসদ’ নামের এক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থেকে। সেখানে যুক্ত হওয়ার পর সংগীতের নানা বিষয়গুলো শিখতে শুরু করি। বিশ্ববিদ্যালয়েই আসলে আমার সংগীতের ভিত্তিটা শক্ত করে। ‘পাখি’, ‘পাগল’, ‘নিকোটিন’, ‘বিপ্লব’, ‘জলরঙ ভালোবাসা’, ‘প্রিয়’ সহ আরো কিছু গান উপহার দিয়েছেন এই শিল্পী।
এখন থেকে গানে নিয়মিত হবেন জানিয়ে করিম জানান, গান নিয়ে তার আগামী কিছু পরিকল্পনা আছে। সে সঙ্গে জানালেন, একক গানের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও গান করার ইচ্ছা তার। তিনি বলেন, গানের জগতে যে সময় থেকে পা রেখেছি একটা বাসনা রয়ে গেছে। আর সেটা হলো চলচ্চিত্রের গান করা। আর সেজন্য আমি প্রথম সিনেমার গানে দশ টাকা পারিশ্রমিক নেবো।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে শহর ঢাকা নিয়ে ‘প্রিয়’ শিরোনামের একটি গান প্রকাশ করেন রেজা করিম। এর আগে ‘নিকোটিন’, ‘পাখি’, ‘পাগল’সহ তার আরও কিছু প্রকাশিত গান শ্রোতামহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। ঈদে প্রকাশিত ‘বাউলা বাতাসে’ গান প্রসঙ্গে রেজা করিম বলেন, এটি মূলত একজন সন্তানসম্ভবা একাকিনী মায়ের অনুভূতিগুলো উপজীব্য করে গাওয়া গান। গানটি পুরুষ কণ্ঠে গাওয়া হলেও পুরোটাই আসলে নারী অনুভূতিকে প্রকাশ করে। একজন সন্তানসম্ভবা মা একা এক বাড়িতে। সে প্রবলভাবে তার সন্তানের বাবাকে কাছে চাচ্ছে কিন্তু জীবিকা ও ভাগ্যের ফেরে দুজন আলাদা জায়গায় থাকে। অনাগত সন্তানকে ঘিরে বাবা-মায়ের সুখ ও শঙ্কার মিশ্র অনুভূতি থাকে। সেগুলো প্রতিনিয়ত বিনিময় হয় একে অপরের সঙ্গে। যখন এই অনুভূতি বিনিময়ের ঘাটতি পড়ে কোনো কারণে, তখন সেটা বাবা-মা দুজনের জন্য খুবই কষ্টের ব্যাপার হয়। এই কষ্ট প্রবলভাবে একাকিত্বে ভোগায়। আর এই একাকিত্ব ঘোচাতে সেই মা কথা বলে চাঁদের সঙ্গে। পেটে থাকা অনাগত সন্তানের হাসি ভেসে আসে তার কানে। এসব অনুভূতিই আমি একজন বাবা ও স্বামী হিসেবে অনুধাবন করে সুর, ছন্দে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি।