বিশ্বজমিন
যুদ্ধ বন্ধের শর্তে ইসরাইলের সকল জিম্মির মুক্তি দেবে হামাস
মানবজমিন ডেস্ক
(১৬ ঘন্টা আগে) ১৫ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ১২:৩৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২৬ পূর্বাহ্ন

গাজায় যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা পেলে জিম্মিদের মুক্তি দেয়ার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সোমবার সংগঠনটির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস বন্দী বিনিময়ের মাধ্যমে সকল ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত হামাস। এক্ষেত্রে ইসরাইলকে যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা দিতে হবে বলে জোর দিয়েছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে বলা হয়, মিশরের রাজধানী কায়রোতে কাতারের মধ্যস্থতাকারীর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করছে হামাস। এছাড়া মিশর ও কাতারের প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছে।
হামাসের ওই কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, ইসরাইলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি বন্দী, যুদ্ধ বন্ধ, গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যহ্যার এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশের বিনিময়ে সকল জিম্মিদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত হামাস। তবে ওই কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন যে, যুদ্ধবিরতির অগ্রগতিতে বাধা দিচ্ছে ইসরাইল। তিনি বলেছেন, বিষয়টি বন্দীদের সংখ্যার সঙ্গে জড়িত নয়, বরং দখলদারদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার সঙ্গে জড়িত। তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে এবং যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছে। তিনি আরও বলেছেন, এ জন্য দখলদার ইসরাইলের কাছে যুদ্ধবিরতির চুক্তি বহাল রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিচ্ছে হামাস।
সোমবার ইসরাইলি সংবাদ ওয়েবসাইট ইয়নেট জানিয়েছে, হামাসের কাছে একটি নতুন প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। চুক্তির অধীনে, ইসরাইল দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনায় অংশ নেবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের নিশ্চয়তার বিনিময়ে সংগঠনটি ১০ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়। তখন একাধিক জিম্মি-বন্দী বিনিময় করে উভয় পক্ষ। দুই মাস না যেতেই একতরফাভাবে চুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় পুনরায় হামলা শুরু করে ইসরাইল। রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে কমপক্ষে ১,৫৭৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৯৪৪ জনে।
পাঠকের মতামত
--ইরফান ভাই। হামাস সঠিক সিদ্ধান্তই নিচ্ছে। তারা পরিস্থিতি অনুধাবন করতে পেরেছেন।
বিশ্বাসঘাতক, দখলদার, যুদ্ধাপরাধী ইসরাইলকে বিশ্বাস করা যাবে না। বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হোক। ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা হোক। ইসরাইল ও তার প্রকাশ্য এবং গোপন দোসরদের সর্বাত্মকভাবে বয়কট করা হোক। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন ফিলিস্তিনে কাজ করুক। ওআইসিকে কার্যকরভাবে ঢেলে সাজানো হোক। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাওফীক দান করুন। সকল বাতিল শক্তিকে পরাজিত করুন।