বিশ্বজমিন
সুদানের দারফুরে আধা সামরিক বাহিনীর হামলায় চার শতাধিক নিহত: জাতিসংঘ
মানবজমিন ডেস্ক
(১৯ ঘন্টা আগে) ১৫ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:৫৩ অপরাহ্ন

সুদানের দারফুর অঞ্চলে আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর সাম্প্রতিক হামলায় চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতার লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছে আরএসএফ। তারা দারফুরের শেষ এলাকা হিসেবে এল-ফাশার শহরের আশপাশের শরণার্থী শিবিরগুলোতে ভয়াবহ স্থল ও বিমান হামলা শুরু করেছে। ফলত সেখানে তৈরি হয়েছে মানবিক সংকট। ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবারের মধ্যে ১৪৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা নিশ্চিত হতে পেরেছে। সংস্থাটির মতে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বিবিসিকে বলেছেন, তাদের যাচাইকরণ প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত রয়েছে। তবে নতুন করে মৃতের যে সংখ্যা জানা গেছে সেখানে রোববারের সহিংসতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। শামদাসানি বলেছেন, নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে। যার মধ্যে ৯ জন ত্রাণকর্মী রয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য মতে, এল-ফাশের জমজম এবং আবু শৌক এলাকায় ৭ লাখের বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই দুর্ভিক্ষ অবস্থার মধ্যে রয়েছে।
এসব হামলার দায় স্বীকার করেনি আরএসএফ। বাহিনীটি রোববার তাদের এক বিবৃতিতে বলেছে, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার জন্য তারা দায়ী নয়। জমজমে হত্যার দৃশ্য তাদের বাহিনীকে অসম্মান করার জন্য মঞ্চস্থ করা হয়েছে। তবে বিদ্রোহী গ্রুপটির দাবি হচ্ছে তারা জমজম এলাকার শরণার্থী শিবিরটি ‘সফলভাবে মুক্ত’ করতে সক্ষম হয়েছে। জমজমের ওই শরণার্থী শিবিরের মানুষকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে তারা।
এল-ফাশার হলো দারফুরের শেষ প্রধান এলাকা যেটি এখনও সেনাবাহিনীর দখলে রয়েছে। তবে ওই এলাকাটি গত এক বছর ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে আরএসএফ এর বিদ্রোহীরা। বিবিসি বলছে, সুদানের নৃশংস গৃহযুদ্ধ মঙ্গলবার তৃতীয় বছরে পা দিয়েছে। দীর্ঘদিনের এই দ্বন্দ্ব নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক। তিনি সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে সংঘাত সমাধানের জন্য অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে তাদের সংকল্প পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানান।