প্রথম পাতা
আওয়ামী লীগের রাজনীতি রিজভীর মন্তব্য
স্টাফ রিপোর্টার
২২ মার্চ ২০২৫, শনিবার
আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কি পারবে না তা গণহত্যার বিচারের পরে জনগণ ঠিক করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখানে ফায়দাবাদ মধ্যপাড়া হাজী শুকুর আলী মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে দুস্থদের মধ্যে ঈদসামগ্রী বিতরণ উপলক্ষে রশিদ গ্রুপের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। রিজভী বলেন, অনেক কথা উঠছে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কি পারবে না। যারা গণহত্যা চালালো তাদের বিচার হবে কিনা? কারা চালিয়েছে, এটা কি মানুষ দেখেনি? কোন পুলিশ, কোন ওসি, কোন এসপি, কোন ডিসি এখানে ভূমিকা রেখেছে। কার নির্দেশে, কার বলায় এই গণআন্দোলনে রক্ত ঘটানোর জন্য, এই গণআন্দোলন ধ্বংস করার জন্য, দমন করার জন্য কার নির্দেশ, আওয়ামী লীগের কোন নেতাদের নির্দেশ রয়েছে। আপনারা (সরকার) এদের বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে পারলে, আওয়ামী লীগ পুরনো দল, এখন সেই দল যারা অপরাধী, অপরাধের বিচার হলে তারপরে তারা জনগণের কাছে গেলে জনগণ যদি তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেয় সেখানে তো আমাদের কিছু বলার নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যে আসবেন, সে যদি অপরাধ না করে- সে যদি ছাত্র হত্যা না করে, সে যদি অর্থলোপাট না করে, সে যদি টাকা পাচার না করে, এরকম লোক যদি নেতৃত্বে আসে তাহলে সেই আওয়ামী লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না, আমার বক্তব্য হচ্ছে এটা। কিন্তু যারা টাকা পাচার করেছে, যারা এই শিশু-কিশোর হত্যা করেছে, যারা আবু সাঈদ-মুগ্ধদের হত্যা করেছে, এদের সবাইকে আমরা চিনি, তাদের বিচার হতে হবে। দুই হাজারের মতো শিশু-কিশোর-তরুণ-ছাত্র-ছাত্রী-শ্রমিক-রিকশাওয়ালাকে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচারটা আমরা করি না কেন, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেই।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের যে প্রধান ছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি আল্লাহকে বিশ্বাস করতেন কিনা সন্দেহ আছে। উনার ঈশ্বর ছিল টাকা, উনার সৃষ্টিকর্তা ছিল টাকা, আজকে আমরা দেখতে পারছি। যার ঈশ্বর টাকা হয়, যারা সৃষ্টিকর্তা টাকা হয়, সে কোনোদিনই ভালো কাজ করতে পারবে না। তাদের প্রত্যেকের বাড়িঘর ঢাকায় আছে, বিভিন্ন জায়গায় আছে, তারপরেও সরকারি সম্পদ লোপাট করেছে, তারা ব্যাংক খালি করে দিয়েছে- এই যে ব্যাংক খালি করে দেয়া, লক্ষ-কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার করা, এই পাচারের মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে শেখ হাসিনার আত্মীয়-স্বজন জড়িত, তাদের পছন্দনীয় ব্যবসায়ীরা জড়িত, তাদের লোকজন জড়িত। তাদের বিচার তো নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আসুন সবাই মিলে এসব হত্যাকারী, যারা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, যারা দেশের স্বাধীনতাকে বিক্রি করেছে। এই স্বাধীনতাকে বিক্রি করে তাদের গদি আঁকড়ে রাখার জন্য যারা শিশু বাচ্চা থেকে শুরু করে তরুণ-কিশোর-রিকশাওয়ালা-শ্রমিকদের হত্যা করেছে, সেই বিচার নিশ্চিত করি। এসব হত্যার বিচার নিশ্চিত হলে আর কখনো দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটবে না।
মোতালেব হোসেন রতনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক আমিনুল হক, উত্তর বিএনপি’র কফিল উদ্দিন আহমেদ, এসএম জাহাঙ্গীর, এবিএম আবদুর রাজ্জাক, রেজাউনুল হক রিয়াজ, আলী আকবর আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
পাঠকের মতামত
I think, BNP want to return AL of politics.
রিজভি সাহবের মাথা খারাফ হয়ে গেছে। কি ভাবে স্বৈরাচার, খুনি, অত্যাচারী একটা দল ইলেকশন করতে পারে? হিটলারের নাযি পার্টি এখন পর্যন্ত নিসিদ্ধ।
লাইনে আহো মামু