ঢাকা, ২৬ মার্চ ২০২৫, বুধবার, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫ রমজান ১৪৪৬ হিঃ

বিশ্বজমিন

গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে সংশয়, ভূমধ্যসাগরে মার্কিন বিমান

মানবজমিন ডেস্ক

(১ মাস আগে) ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সোমবার, ৫:২১ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০২ পূর্বাহ্ন

mzamin

গাজাবাসীকে উৎখাতের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের। আর নিজেদের অধিকারের পক্ষে লড়াইরত যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাসকে নির্মূল করার হুমকি দিয়েছেন তারই পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থানে বেজায় খুশি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এমন অবস্থায় গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হচ্ছে কায়রো সংলাপ। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাতের একদিন পরে সৌদি আরব পৌঁছেছেন মার্কো রুবিও। ইসরাইলি প্রতিনিধিরা সংলাপের জন্য পৌঁছেছে কায়রোতে। ওদিকে প্রথম দফা যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, হাজার হাজার ভ্রাম্যমাণ বাড়ি এবং তাঁবু অপেক্ষায় আছে গাজায় প্রবেশের জন্য। কিন্তু তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরাইল।

অন্যদিকে গাজা ও পশ্চিমতীরে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। গাজাবাসী যারা বাড়ি ফিরে গেছেন তারা ভয়াবহরকম পানি সংকটের মুখোমুখি। তাদের বাড়িঘর ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। কোন মৌলিক সেবা নেই। এই যখন গাজার বাস্তব পরিস্থিতি তখন কায়রো সংলাপে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কোন দিকে যায় তা বলা কঠিন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দফার আলোচনা এই সপ্তাহে অব্যাহত থাকবে। এমন অবস্থায় দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্রাজুয়েট স্টাডিজের সহযোগী প্রফেসর তামের কারমুট বলেন, ট্রাম্প গাজায় জাতিনিধনের পরিকল্পনা করেছেন। তার উল্টো অবস্থানে আছে সৌদি আরব। এর ফলে বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠার একটি সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। এখন দেখার বিষয় হলো ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে কি প্রতিক্রিয়া দেখায়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যার বিষয় হলো হামাস। কারণ ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে গাজা থেকে উৎখাত করতে চায়। হামাস বলেছে তারা শাসন ব্যবস্থায় কোনো ভূমিকা রাখতে চায় না। তবে তারা ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে থাকতে চায় রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে। তবে প্রস্তাবে বলা হতে পারে হামাসকে রাজনৈতিক ক্ষেত্র থেকে সরে যেতে হবে, যা হবে অবাস্তব।

ফ্লাইট রাডারের তথ্যমতে ভূমধ্য সাগরের ওপর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৬টি সামরিক বিমান উড়তে দেখা গেছে। এগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর। এতে আছে দুটি বোয়িং বি-৫২ স্ট্র্যাটোফোর্টেস স্ট্র্যাটেজিক বোমারু, চারটি বোয়িং কেসি-১৩৫ স্ট্র্যাটোট্যাঙ্কার। যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটি আছে ইংল্যান্ডে। এর নাম রয়েল এয়ারফোর্স মিল্ডেনহল। সেখান থেকে বিমানগুলো উড্ডয়ন করে। ফ্লাইট পথ খতিয়ে দেখা যায়, বিমানগুলো দক্ষিণ ইউরোপ এবং উত্তর আফ্রিকার কাছ দিয়ে ভূমধ্যসাগরের ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে। এর সম্ভাব্য গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্য।

 

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status