বিশ্বজমিন
বৃটেনে ক্রমবর্ধমান তদন্তের চাপে হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ
মানবজমিন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ৫ জানুয়ারি ২০২৫, রবিবার, ৩:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:৫৭ অপরাহ্ন
বাংলাদেশের পতিত সরকারের ঘনিষ্ঠজনদের থেকে ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার খবর প্রকাশের পর ক্রমবর্ধমান তদন্তের চাপে পড়েছেন বৃটেনের নগর মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। সম্প্রতি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসসহ একাধিক গণমাধ্যমে বৃটেনে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের কাছ থেকে সম্পত্তি উপহার নেয়ার বিষয়টি সামনে আসায় টিউলিপ বেশ বেকায়দায় পড়তে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
এতে বলা হয়, শুক্রবার ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে টিউলিপ ২০০৪ সালে কিংস ক্রসের কাছ থেকে কোনোরকম অর্থ প্রদান ছাড়াই দুই শয়নকক্ষ বিশিষ্ট একটি অ্যাপার্টমেন্ট পেয়েছিলেন। বৃটেনের ভূমি নিবন্ধন সংক্রান্ত নথিপত্রের বরাতে ওই তথ্য প্রকাশ করেছিল গণমাধ্যমটি। নথির তথ্যানুযায়ী অ্যাপার্টমেন্টটি টিউলিপকে উপহার দিয়েছিলেন আব্দুল মোতালিফ নামের এক ব্যক্তি। যিনি টিউলিপের খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত একজন ডেভেলপার। গত বছরের আগস্টে ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর হাসিনা ও তার পরিবারের ব্যক্তিদের বিতর্কিত এসব সম্পত্তির কথা সামনে এসেছে। এসব তথ্য প্রকাশ্যে আসায় টিউলিপের ওপর তদন্তের চাপ বাড়ছে। এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের দায়েও টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ক্রমাগতভাবে বৃটেনের একজন এমপির বিরুদ্ধে এমন বিতর্কিত সম্পদের তথ্য সামনে আসাটা বৃটেন সরকারের জন্যও বেশ বিব্রতকর। কেননা সিটি মিনিস্টার হিসেবে টিউলিপ সিদ্দিকের ভূমিকা দেশটিতে আর্থিক দুর্নীতি মোকাবিলায় প্রশ্ন তুলতে পারে।
ব্লুমবার্গ বলছে, এই অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেননি টিউলিপ। তবে তার একজন মুখপাত্র ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের কাছে দাবি করেছেন, টিউলিপ সিদ্দিকের এই সম্পত্তি বা অন্য যেকোনো সম্পত্তির মালিকানার সঙ্গে আওয়ামী লীগকে সমর্থনের ধারণাটি স্পষ্টতই ভুল হবে।
Sheikh family all corrupted
চোরের গোষ্টি !এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের দায়েও চোরের গোষ্টি টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।