যুদ্ধ জয়ের গল্প

ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার দিনগুলো এখনো স্মৃতিতে টাটকা। কঠিন সময় পার করে ফের অভিনয় জগতে ফিরেছেন মনিষা কৈরালা। কিন্তু সেই সময় ভাবতে পারেননি, আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই যুদ্ধ জয়ের গল্প জানালেন অভিনেত্রী। ২০১২ সালে জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্ত হন মনিষা। ক্যান্সার ধরা পড়ার পরে স্বাভাবিকভাবেই পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছিল অভিনেত্রীর। ভেবেছিলেন, এই পৃথিবীতে তিনি আর বেশি দিন নেই। শিগগিরই জীবনের ইতি হতে চলেছে। মনিষার কথায়, ২০১২ সালে জরায়ুর ক্যান্সার ধরা পড়ে। আমি জানতাম না, আমি ক্যান্সারের তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছি। নেপালে ছিলাম তখন। খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। হাসপাতালে দু’-তিন জন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলার পরে ভেবেছিলাম, আমি হয়তো আর বাঁচবো না। ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। দীর্ঘদিন সেখানে ছিলেন। ১১ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার সফল হওয়ার পরে কেমোথেরাপি শুরু হয়। ধীরে ধীরে চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তার কথায়, আমার মা নেপাল থেকে রুদ্রাক্ষ নিয়ে এসেছিলেন। মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পড়ে সেই রুদ্রাক্ষ চিকিৎসককে দিয়েছিলেন। জানি না, অস্ত্রোপচারের সময় কীভাবে সেটা তিনি সঙ্গে রেখেছিলেন। তবে সফল অস্ত্রোপচারের পরে তিনি বেশ অবাক হয়েছিলেন। আমিও চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছিলাম। আর এভাবেই একটা বড় যুদ্ধ জয় করে ফেলি। এদিকে বহু দিন পরে সঞ্জয় লীলা বানসালীর ওয়েব সিরিজ ‘হীরামন্ডি’-তে দেখা গিয়েছে মনিষাকে। অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ক্যান্সারের জন্য এখন আগের মতো গতিতে কাজ করতে পারেন না। মানসিকভাবেও মাঝে মাঝে অস্বস্তি হয়। ‘হীরামন্ডি’ করার সময় আমার মেজাজ প্রায়ই খারাপ হতো। তবে পরিচালকের সহযোগিতায় কাজটি শেষ করি। পরে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয় ‘হীরামন্ডি’।