বিশ্বজমিন
বাংলাদেশে হাসিনার ‘ফ্যাসিস্ট’ দলের কোনো স্থান নেই: ড. ইউনূস
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ৩০ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ১:৩২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৫৯ অপরাহ্ন
‘ফ্যাসিবাদের সকল বৈশিষ্ট্য’ প্রদর্শনের জন্য ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী নেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে অভিযুক্ত করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, দেশের রাজনীতিতে তাদের কোনো স্থান নেই। যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন ড. ইউনূস।
জুলাই-আগস্ট ছাত্রজনতা নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের পর যখন হাসিনার পতন হয়েছে তখন বাংলাদেশের প্রাচীন দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করেছেন ৮৪ বছর বয়সী শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূস।
তিনি আরও বলেছেন, এখনই তার সরকার ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে দিল্লির কাছে ফেরত চাইবে না। কেননা এ বিষয়টি প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। ড. ইউনূস বলেছেন, নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশে স্বল্পমেয়াদে তার কোনো জায়গা হবে না, তার দল আওয়ামী লীগেরও কোনো জায়গা হবে না। কেননা তারা দেশের জনগণ এবং রাজনৈতিক কলকব্জা নিয়ন্ত্রণ করেছে। তারা নিজেদের সুবিধার জন্য রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করেছে। সুতরাং তাদের মতো কোনো ‘ফ্যাসিস্ট দল’ গণতান্ত্রিক ধারায় স্থান পাবে না।
রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাদের আমলে হওয়া নির্বাচনে কারচুপি, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং শেখ হাসিনার ১৫ বছরের বেশি সময়ের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগ এনেছে। হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তার দলকে রাজনীতি থেকে সাময়িক নিষিদ্ধের আলোচনাও শুরু হয়েছে। অনেকে বলছেন, রাজনীতিতে ফিরতে হলে আওয়ামী লীগকে সংস্কারের মধ্য দিয়ে আসতে হবে। আবার কারো কারে মতামত হচ্ছে ওই দলটিকে চিরতরে নিষিদ্ধ করা উচিত। এ নিয়ে বেশ বিতর্ক চলছে।
ড. ইউনূসের ধারণা আওয়ামী লীগ ভেঙে যেতে পারে। তবে তিনি এ বিষয়েও জোর দিয়েছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে হাসিনার দলের কোনো ভাগ্য বদল হবে না। কেননা তারা কোনো বর্তমান সরকার ‘রাজনৈতিক সরকার নয়’। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি-না তা নির্ধারিত হবে রাজনৈতিক দলগুলোর ‘ঐক্যমতের’ ভিত্তিতে। এক্ষেত্রে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান কী হবে তা নির্ধারণ করতে হবে।
ভারতে হাসিনা কোথায় আছেন সে অবস্থান এখনও নিশ্চিত নয়। সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, তাদের দল যে কোনো সময় নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ক্ষমতায় থাকাকালীন ড. ইউনূসকে টার্গেট করেছিলেন হাসিনা। এতে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে দুইজন ছাত্রনেতা রয়েছেন। বাংলাদেশে নতুন নির্বাচনের পথ তৈরি করার পাশাপাশি পুলিশ, বিচার বিভাগ এবং জনপ্রশাসনসহ সংস্কারমূলক কাজের জন্য ১০টি কমিশন গঠন করেছে ড. ইউনূস সরকার।
ইতিমধ্যেই কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ড. ইউনূস। এছাড়া তার কোনো রাজনৈতিক দল গঠনেরও ইচ্ছা নেই। তিনি বলেছেন, আমাদের কাজ হচ্ছে সংস্কার এজেন্ডাগুলো নিষ্পত্তি করা। নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসব আমরা।
শেখ হাসিনার শাসনের পতনের ফলে তার সবচেয়ে বড় বিদেশি সমর্থক ভারতের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে বাংলাদেশের। হাসিনাসহ তার দলের ৪৫ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই আদালতের রায় ঘোষণার পরই ভারতের সঙ্গে হাসিনার প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে আলাপ শুরু করবে অন্তর্বর্তী সরকার।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে ড. ইউনূস বলেন, হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলার রায় ঘোষণার পর ভারতের সঙ্গে প্রত্যার্পণ চুক্তির আওতায় তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। আমি মনে করি না যে, রায় হওয়ার আগে এটা করার দরকার আছে।
আগস্টে হাসিনা পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, বিক্ষোভ দমনে তার মায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতার যেসকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা। হাসিনা পুত্রের দাবি, যেহেতু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা নেই তাই যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছেন তিনি।
হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর তার দলের অনেক নেতা-কর্মী দেশ ছেড়েছেন অথবা আত্মগোপনে রয়েছেন। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হাতে আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে এর সংখ্যা কত তা সঠিকভাবে জানা যায়নি।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ড. ইউনূসের সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রায় ৮০০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে, হিন্দুদের ওপর ব্যাপক নৃশংসতা নিয়ে ভারত যে অভিযোগ করছে তার কোনো সত্যতা নিশ্চিত করেনি মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
ইউনূস হিন্দুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ‘কিছু ঘটনা’ এবং ‘খুব অল্প সংখ্যক প্রাণহানির কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে, আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতার জন্য তাদের টার্গেট করা হয়েছিল, ধর্মের জন্য নয়।
ড. ইউনূস বলেছেন, বিদ্যুৎ, পানি এবং অন্যান্য অবকাঠামো প্রকল্পের ক্ষেত্রে দিল্লির সমর্থনের অভাব রয়েছে। তিনি নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে স্বাগতম জানিয়েছেন। দুই প্রতিবেশীর যেমন সম্পর্ক থাকা উচিত তা সর্বোত্তম পন্থায় থাকতে হবে বলে মনে করেন ইউনূস।
তরুণদের নতুন একটি দল গঠন করতে হবে। নতুন বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্যই তরুণ দের দল গঠন করা দরকার। তরুণ দলটিই যেন ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্র খমতায় যায়।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় একটি নুতন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গড়া অপরিহার্য ও দ্রুতই জরুরী।
ড. ইউনূস ১০০% ঠিক ।
শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক দল ছিল না , তাদের যত সব অপকর্ম নিরপেক্ষ দৃষ্টি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করলেই তা প্রমান হবে - ছিল লুটেরা , খুনি ,মিথ্যাবাদী , প্রতারক ।
এখনই তার সরকার ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে দিল্লির কাছে ফেরত চাইবে না।---তাহলে, ইতিমধ্যেই জুজু পেয়ে বসেছে!
১০০% সত্য
পুরো প্রতিবেদনটিতে ডঃ ইউনুস স্যারের চির উন্নত মম শির জাতীয় মতামতটি আমাদের মস্তককেও উন্নত করেছে। তবে, শেষে মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো বিষয়টিকে মেনে নিতে পারলাম না। কারণ মোদিকে আমন্ত্রণ জানাতে হবে কেন? মোদি তো দু'পা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশকে মানচিত্র থেকে মুছে দেয়ার ষড়যন্ত্রে। এছাড়া কলকতার কিছু কুৎসিত মানের তাত্ত্বিকজাতীয় কুশিলব হাসিনার গুণকীর্তন এবং এদেশের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে তথ্য মন্ত্রানলয় থেকে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছিনা।
ডক্টর ইউনুস সত্যই এখন সিংহ পুরুষের মতো কথা বলতে শুরু করেছেন। ধন্যবাদ জানাই তাকে। আল্লাহ সহায় হউন।
গত ৩ টি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পুতুল নাচ দেখিয়ে জাতীর ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। সুতরাং ৩ টি নির্বাচনের জন্য আওয়ামীলীগ কে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষনা করতে হবে।
মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত খুনি হাসিনাকে অবশ্যই ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। আওয়ামীলীগকে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে।
100% agree . thank you so much
100%agree
আওমীলীগ রাজনীতিতে ফিরবে কি ফিরবেনা সেটা এখন মূখ্য নয়, গত ১৬ বছরের সকল অপকর্মের বিচার জরুরী। জুলাই আগষ্ট মাসে মানবাধিকার লংঘন করছে তার বিচার জরুরী।
হাসিনার তো এদেশের দরকার নেই তাই এদেশে এসে কি করবে ?? ওনাকে ওখানেই বুড়ি করে রাখা হোক। দরকার হলে লাঠি এবং সেবিকা পাঠিয়ে দিবে সরকার
100% agree sir. We dont want Bakshal version 3.0
ডক্টর ইউনুস স্যারকে অসংখ্য ধন্যবাদ। জনগণেরমনের কথা উপলদ্ধি এবং বলার জন্য। বাংলাদেশের জনগণ চেতনার নামে, সংবিধানের দোহাই দিয়ে কোন ফ্যাসিস্টকে ভোট চুরি, খুন, গণহত্যা, অর্থ লুটপাট সহ জনগণের কোন ধরণের অধিকার হরণের সুযোগ দিবে না। ওদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নাই।
Agreed.
100%agree
আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের স্বাধীনতায় এই দলের আবেদন অনস্বীকার্য কিন্তু গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনার অযোগ্য ও প্রতিশোধ পরান এবং হিংসাত্মক নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যদি এই দল কে সকল প্রকার রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে আশ্চর্য হাওয়ার কিছুই নেই।
মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত খুনি হাসিনাকে অবশ্যই ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। আওয়ামীলীগকে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে।
There is no difference between Awami League and nazi party of Germany!!!
আওয়ামী লীগ কোন রাজনৈতিক দল নয়, ফ্যাসিষ্ট দল। মাফিয়াচক্র বলাটা বোধ করি উপযুক্ত । দলটিকে চিরতরে নিষিদ্ধ করা উচিত। নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিষ্টদের স্থান নয়। ব্যাংকলুট, ভোটচুরি ও গুম তাদের মূলমন্ত্র।
সাধারণ জনতার চেতনার সাথে সহমত থাকায় স্যারকে ধন্যবাদ।
অবশ্যই স্থান নেই,আপনার সাথে একমত স্যার,আওয়ামীলীগ কে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক গুজবে ভরপুর,তারা শুরু থেকে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে ,মিথ্যার ধ্বংস অনিবার্য, তারা গণহত্যা চালিয়েছে ক্ষমতার কারণে ,এই দেশের জনতা তাদের কখনো ক্ষমা করবেনা
নিষিদ্ধ নয় শেখ হাসিনা ও তার দলের ফ্যাসিবাদি অপকর্মের বিচার করা জরুরী --- ক্ষমতাশালী অপরাধীদেন বিচারের মাধ্যমেই এদের শাস্তি নিশ্চিত করে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে