বিবিধ
কালের কণ্ঠে প্রকাশিত এফডিআরের নামে ৩০ কোটি টাকা লোপাট শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটির
(১ মাস আগে) ২৮ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ২:৩৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:০৪ অপরাহ্ন
শিক্ষক শিক্ষার্থী ও জনসাধারণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ
গত ২৫ অক্টোবর ২০২৪, দৈনিক কালের কন্ঠে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি এর নাম উল্লেখ করে ‘‘এফ ডি আরের নামে ৩০ কোটি টাকা লোপাট’’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে সমর্থিত কোন সূত্র উল্লেখ ব্যতীত মনগড়া ও ভুল তথ্য উপাত্ত সন্নিবেশিত করে উপস্থাপন করা হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদে কোন সূত্রের বরাত না দিয়েই এফ ডি আরের নামে ৩০ কোটি টাকা লোপাটের কথা বলা হয়েছে, যা মোটেও সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (অর্থ) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম কর্তৃক এফডিআর জালিয়াতি ও অর্থ আত্নসাতের ঘটনায় তুরাগ থানায় ১২,৩৮,৭৫,০০০/- টাকা আত্নসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদে ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট অর্থ পরিচালকের উপর দায় চাপিয়ে টাকা আত্নসাৎ করা বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে’’ মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে, যা মোটেও সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে কর্তৃপক্ষের রুটিন যাচাই এর সময় পরিচালক (অর্থ) কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট জমা প্রদানকৃত এফডিআর যাচাই অন্তে ৩টি এফডিআর ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত নয় বলে জানা যায় এবং হিসাব পরিচালনায় যৌথ স্বাক্ষরকারী ও অর্থ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত পরিচালক (অর্থ) কর্তৃক অর্থ আত্মসাতের তথ্য বেরিয়ে আসে-যার দায়দায়িত্ব স্বীকার করে তার ক্ষতিপূরনে জনাব মনিরুল ইসলাম ৩০০ টাকার নন-জুুডিশিয়াল ষ্টাম্পে গত ১১.০৯.২০২৪ তরিখে লিখিত অঙ্গীকার নামা প্রদান করেছেন। পরবর্তীতে এ বিষয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের জরুরী সভা আহবান করে আর্থিক জালিয়াতির বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত তদন্ত কমিটি দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সেই সাথে একটি স্বনামধন্য অডিট ফার্ম দ্বারা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, পরিচালক (অর্থ) এর অর্থ আত্বসাতের সঙ্গে আর কে কে জড়িত এবং আত্নসাতকৃত অর্থের পরিমান নির্ধারনের জন্য ‘ফরেনসিক অডিটর’ নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সুতরাং ”নীরব ভূমিকায় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান, উপাচার্য ও ট্রেজারার” বা ”মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামকে ফাঁসিয়ে পুরো ঘটনা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন বোর্ডের কয়েকজন” বলে যা উল্লেখ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত যা উপরোক্ত বর্ননায় স্পষ্ঠতই প্রতীয়মান হয়।
প্রকাশিত সংবাদে গত আগষ্ট মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন নিয়ে টানাপোড়ন সৃষ্টি হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় থেকে ব্যয় নির্বাহ না হওয়ায় এফডিআর ভাঙ্গার প্রশ্ন ওঠে বলা হলেও প্রকৃত পক্ষে তা সত্য নয়:
জুলাই-আগষ্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তৎকালিন সরকার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা করলে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দিতে কিছুটা বিলম্ব হলেও তার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় থেকে ব্যয় নির্বাহ না হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় থেকে ব্যয় নির্বাহ না হওয়ায় এফডিআর ভাঙ্গার প্রশ্ন ওঠার বিষয়টি সঠিক নয়। এফডিআর হিসাব একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংরক্ষিত তহবিল। মেয়াদান্তে প্রতিটি এফডিআর পুন: বিনিয়োগ করা হয় মাত্র।
প্রকাশিত সংবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের অন্যতম দুজন সদস্য জনাব ডা. আহসানুল কবির ও ইঞ্জিনিয়ার শেখ তানভীর আহমেদ রনি উল্লেখিত অর্থ আত্নসাতের সাথে জড়িত উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ন উদ্দেশ্য প্রনোদিত, ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য। প্রকৃতপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালনার্থে বা অর্থ ব্যবস্থাপনার সাথে আইনগতভাবে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ সদস্যদের জড়িত হওয়ার কোন সুযোগ নেই। আর্থিক বিষয়টি পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব পদাধিকারবলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও পরিচালক (অর্থ) এর উপর বর্তায়।
প্রকাশিত সংবাদে পরিচালক (অর্থ) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের দুজন সদস্য (যারা নিয়োগ বোর্ডের সদস্য নয়) জনাব ডা. আহসানুল কবির ও ইঞ্জিনিয়ার শেখ তানভীর আহমেদ রনি’র সুপারিশে নিয়োগ পান উল্লেখ করা হয়েছে যা সম্পূর্ন অসত্য তথ্য। প্রকৃতপক্ষে মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যথাযথ নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে পরিচালক (অর্থ) পদে নিয়োগ লাভ করেন।
প্রকাশিত সংবাদে ট্রাস্টিবোর্ডের উক্ত দুই সদস্যের বাইরে গিয়ে মোহাম্মদ ইসলামের অর্থ আত্নসাতের কোন সুযোগ নেই বলা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মনগড়া অসত্য তথ্য।
প্রকাশিত সংবাদে এত বড় আর্থিক কেলেংকারির পরও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান শিল্পী অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক, উপাচার্য, প্রফেসর ড. মো: শাহ-ই-আলম এবং ট্রেজারার, প্রফেসর শামসুন নাহার চুপ রয়েছেন বলে উল্লেখ করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমগ্র প্রশাসন প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। উক্ত তদন্ত কমিটি দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সেই সাথে একটি স্বনামধন্য অডিট ফার্ম দ্বারা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, পরিচালক (অর্থ) এর সঙ্গে অর্থ আত্বসাতের সঙ্গে আর কে কে জড়িত এবং আত্নসাতকৃত অর্থের পরিমান নির্ধারনের জন্য ‘ফরেনসিক অডিটর’ নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভায় রেজিস্ট্রার ড. পাড় মশিয়ূর রহমান জানান অর্থ পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জমা করা ৩০ কোটি টাকার এফডিআরের রশিদ বিভিন্ন সময়ে দাখিল করেছেন। কিন্তু তাঁর জমা করা সব কাগজই জাল বলে প্রমান হয়েছে মর্মে প্রতিবেদক উল্লেখ করেছেন, যা সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে সব এফডিআরের রশিদ জাল নয় এবং রেজিস্ট্রার ড. পাড় মশিয়ূর রহমান বোর্ড অব ট্রাস্টিজের মিটিংয়ে এ ধরণের কোন বক্তব্য দেননি।
প্রকাশিত সংবাদে এহেন মিথ্যা, মনগড়া, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশনের জন্য আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তদন্তাধীন বিষয়ে এধরনের সংবাদ পরিবেশনের পূর্বে তা যাচাই বাছাই অত্যাবশ্যক হলেও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক এইক্ষেত্রে তার ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন।
দৈনিক কালের কন্ঠের মত একটি দায়িত্বশীল দৈনিকের কাছে আমরা এমনটা আশা করিনি। উক্ত সংবাদ পরিবেশনের কারণে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি’র ভাবমূতি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে একইসাথে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরী হয়েছে।
ফলে জনসাধারণকে উক্ত সংবাদে ভিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি
কর্তৃপক্ষ
শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০
(বিজ্ঞাপন)