বাংলারজমিন
‘পালিয়ে পার পাবেন না হাসিনা’
পঞ্চগড় ও নীলফামারী প্রতিনিধি
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবারপালিয়ে পার পাবেন না শেখ হাসিনা। এদেশের মাটিতেই স্বৈরাচারী নব্য ফেরাউন শেখ হাসিনার বিচার হবে ইনশাআল্লাহ। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক একথা বলেছেন। রোববার সন্ধ্যায় নীলফামারী হাইস্কুল মাঠে নীলফামারী খেলাফত মজলিস আয়োজিত সমাবেশে তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি কায়েম করেছিলেন। শেখ হাসিনা তার পিতা হত্যার বিচারের নামে অনেক নিরীহ জনগণকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশে বিভক্তির রাজনীতি শুরু করেছিলেন। যাকে খুশি তিনি তাকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছেন। যাকে খুশি তাকে রাজাকার বানিয়েছেন। শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্র রুখতে গ্রামে গ্রামে, পাড়ায় পাড়ায় প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সময় এসেছে বাংলাদেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করার। বাংলাদেশ হবে ইনসাফের বাংলাদেশ। তিনি বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে সকল রাজনৈতিক দলকে এগিয়ে আসতে হবে। জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা গোলাম রব্বানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা কারী আজাহারুল হক, মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, এনামূল হক মুসা, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা মাহাবুবুল হক প্রমুখ।
এদিকে শেখ হাসিনা মেগা প্রকল্পের নামে লাখ লাখ কোটি টাকা মেগা দুর্নীতি করে বাংলাদেশকে ফোকলা করে ছেড়ে দিয়েছেন বলে অন্য আরেক সমাবেশে মন্তব্য করেছেন মামুনুল হক। গতকাল দুপুরে পঞ্চগড় স্টেডিয়ামে নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। মামুনুল হক বলেন, একাত্তর থেকে পঁচাত্তর পর্যন্ত ৩০ হাজার যুবককে হত্যা করেছে বাকশালীরা। আর হাসিনা ভিনদেশি এক রাষ্ট্রের আশীর্বাদে বাংলার মসনদ মজবুত রাখার জন্য অসংখ্য বিরোধী নেতাকর্মীদের গুম, খুন ও হত্যা করেছে। জুলাই থেকে আগস্টে সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করেও তার রক্ত তৃষ্ণা মেটেনি। তিনি প্রয়োজনে লাখো মানুষ হত্যা করেও ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতনের কুশীলব ছিল শেখ হাসিনা ও তার দোসররা। এরা রাতের অন্ধকারে কালনাগিনী হয়ে সংখ্যালঘুদের ছোবল মারতো, আবার সকালে ওঝা হয়ে ঝাড়তো। এখন তারা নেই, নাটকও নেই। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সংগঠনটির পঞ্চগড়ের সভাপতি মীর মোর্শেদ তুহিন, জেলা জামায়াতের আমীর ইকবাল হোসাইনসহ খেলাফত মসজিসের কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতাকর্মীসহ হাজারো মানুষ উপস্থিত ছিলেন।