বিনোদন
কারফিউ চান না সোহেল রানা
স্টাফ রিপোর্টার
২৫ জুলাই ২০২৪, বৃহস্পতিবার
শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন চালিয়েছেন। এ বিষয়ে শুরু থেকেই কথা বলে আসছেন চলচ্চিত্র অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা সোহেল রানা। তিনি বলেন, কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে অনেক আগ থেকেই কথা বলেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বার বার বলা হয় কেন? দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৩ বছর। তার সঙ্গে যদি আরও ১২ বছর যোগ করা হয়, তাহলে ওই সময়ের একজন মুক্তিযোদ্ধার বয়স হয় ৬৫। এ বয়সে কেউ আর চেষ্টা করেন না বা স্কুল-কলেজে ভর্তি হন না। তাদের সন্তানদের বাবার কারণে কোটা সিস্টেমে চাকরি ও ভর্তি হতে হবে এটা মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করার শামিল। এ নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম ও ভাঙচুর অনেক হয়েছে। এই অভিনেতা বলেন, হাইকোর্টের রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। আন্দোলনকারীরা জয়লাভ করেছেন। আন্দোলনকালে তাদের নামে যে মামলা হয়েছে, সেটি এখন তুলে নেয়া উচিত। যারা দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আহত কিংবা নিহত হয়েছেন, তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। শুধু মৌখিক সমবেদনা জানালে চলবে না। তাদের পরিবারের যদি একজন উপার্জনক্ষম সদস্য থাকেন, যদি তাদের পরিবার সচ্ছল না হয়, তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে সরকারের তরফ থেকে সহযোগিতা করা উচিত। সোহেল রানা আরও বলেন, আন্দোলনের সময় দু’পক্ষের লোকজনই নিহত কিংবা আহত হন। আইনকে যারা ব্যবহার করেন, আর সেটা করতে গিয়ে যদি তারা আইনের অপপ্রয়োগ করেন, তার বিচার হওয়া দরকার। অনেক জায়গায় না হলেও একটা বিষয় আমরা এবার খেয়াল করেছি, তা হলো রংপুরে আবু সাঈদ নামে যে যুবকটি মারা গেছেন, তার পেছনে কোনো লোকজন ছিল না। তিনি খোলা হাতে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। যুবকটি পুলিশকে ক্ষোভের সুরে বলেছিলেন আমাকে গুলি কর। সেখানে একজন দারোগা তাকে গুলি করলেন! তিনি বলেন, তাকে তো জনগণের টাকায় কেনা অস্ত্র দেয়া হয়েছিল। ওই দারোগাকে জবাবদিহির আওতায় আনা দরকার। দেশে তো আইন আছে। এ ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া দরকার। কারফিউ চান না উল্লেখ করে সোহেল রানা বলেন, আমরা তো চাই, দেশ আবার আগের মতো সুন্দরভাবে চলুক। কারফিউ থাকুক, এটা আমরা চাই না। আমাদের সেনাবাহিনী অত্যন্ত সৌন্দর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। যেখানে তারা একটি গুলিও ফোটায়নি। কাছে এসে আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে এটি নিয়ন্ত্রণ করেছে।