বিনোদন
ফেসবুক থেকে নেয়া
‘দুইটা গুলি কী করে নিয়েছে এই বাচ্চা ছেলেটা’
স্টাফ রিপোর্টার
২৫ জুলাই ২০২৪, বৃহস্পতিবার
কোটা আন্দোলন ও পরবর্তী সহিংসতার জেরে চলমান রয়েছে কারফিউ। করা হয়েছে সেনা মোতায়েন। এমন অবস্থায় কয়েকদিন ছিল না ইন্টারনেটও। বন্ধ ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারও। তবে মঙ্গলবার রাত থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে ইন্টারনেট সেবা। প্রায় ৬ দিন পর সামাজিক মাধ্যমে ফিরেই জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা দিলেন দুঃসংবাদ। তিনি জানান, তার দীর্ঘদিনের সহকারী যাকে ভাইয়ের চোখে দেখেন, তিনি আর বেঁচে নেই। গুলি লেগে মারা গেছেন তিনি। বেশ কয়েকটি ছবি যুক্ত করে তিশা তার স্ট্যাটাসে লিখেন, কীভাবে শুরু করবো জানি না। আপনারা হয়তো সবাই ওকে আমার এসিস্ট্যান্ট হিসেবে চিনেন, কিন্তু ও আমার এসিস্ট্যান্ট না ও আমার ছোট ভাই। গত চার বছর ধরে ও আমার সঙ্গেই থেকেছে, আমার ফ্যামিলিতেই থাকে। আপু কী লাগবে, আপু কী খাবে, আপু কখন ঘুমাবে, আবার কখন মনটা খারাপ, মনটা ভালো- সবকিছু এই ছেলেটাই জানতো আর দেখতো। ওর নাম আলামিন। সারাটা দিন আমার বড় একটা ছায়ার মতো আমার পাশে বসে থাকতো। আমার কতো প্ল্যান ওকে নিয়ে। ওকে ড্রাইভিং শেখাবো, জোর করে বলতাম পড়াশোনাটা কন্টিনিউ করতে। পরীক্ষাটা দিতে। অনেকে অনেক কিছু বলতো। কিন্তু দুনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করে ও আপুর কাছে এসে বসে থাকতো। ঈদের দিনগুলোও আগে আমার সঙ্গে থাকতো, তারপর ওর ফ্যামিলির সঙ্গে। কতো বকা দিতাম, আবার একটু পর ঠিকই বুঝাতাম। আবার মন খারাপও করে থাকতো। তিশা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে লিখেন, আর একটা না দুই দুইটা গুলি কী করে নিয়েছে এই বাচ্চা ছেলেটা! আলামিন কোনো দল অথবা কোনোকিছুর সঙ্গে জড়িত ছিল না। ওর বিগত ৪ বছর আমার ও আমার কাজের সঙ্গে এবং আমার পরিবারের সঙ্গেই কেটেছে সময়। ওর জীবনে কোনো পাপ নাই। খুব ছোট একটা মানুষ। এই চার বছর আমার কাছে বড় হতে দেখলাম। দোয়া করবেন সবাই আল্লাহ্র কাছে যেন সুন্দর জীবনে থাকে।
পাঠকের মতামত
মর্মান্তিক