বাংলারজমিন
চাচাতো ভাইকে ফাঁসাতে নিজের মাথা কেটে থানায় অভিযোগ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
১১ জুলাই ২০২৪, বৃহস্পতিবারসিরাজগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইকে ফাঁসাতে জাহিদুল ইসলাম ফারুকের বিরুদ্ধে নিজের মাথা নিজেই কেটে রক্তাক্ত করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মিথ্যা মামলা সাজানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের।
ভুক্তভোগী হাজী আব্দুল বারিকের ছেলে আব্দুল আলীম, লিটন শেখ, আব্দুল মমিন ও ইমন বলেন, জমি সংক্রান্ত জেরে আমাদের মামলায় ফাঁসাতে আমাদের চাচাতো ভাই ফারুক নিজের মাথা নিজেই কেটে রক্তাক্ত করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আমাদের বাপ-দাদার পৈতৃক সম্পত্তি বাটোয়ারা না করে জোরপূর্বক রাস্তার সামনে থেকে দখল করার চেষ্টা করে। দখল না দিলে ফারুক নিজের মাথা নিজেই কেটে হাসপাতালে ভর্তি হয়। মৃত হাজী মোকছেদ আলীর ছেলে হাজী মতিয়ার রহমান, হাজী লুতফর রহমান, হাজী মতিয়ারের ছেলে ফারুক, আব্দুল্লাহ বিভিন্ন সময় বহিরাগত লোকজন এনে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি ও জোরপূর্বকভাবে আমাদের জায়গা দখলের চেষ্টা করে। আমাদের যাতায়াতের রাস্তা টিনের বেড়া দিয়ে আটকিয়ে দেয়।
তারা বলেন, জমি বিক্রির কথা বলে ফারুক ও তার বাবা মোকছেদ আলী ৫ লাখ টাকা নেয়। কিন্তু ৫ বছর অতিক্রম হলেও এখন পর্যন্ত জমি দলিল করে দেননি। যা এলাকার মুরব্বিরা অবগত রয়েছে। শুধু তাই নয়, তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় একাধিক বার সালিশি বৈঠক হলেও তারা কোনো কিছুই মানেন না। বরং বহিরাগত লোকজন এনে এলাকায় সংঘর্ষ সৃষ্টি করে। স্থানীয় পঞ্চায়েত কমিটির অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, হাজী মতিয়ার গংরা এলাকার কোন সালিশ মানে না। তারা বহিরাগত লোকজন এনে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করে। থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে।
এ ব্যাপারে জাহিদুল ইসলাম ফারুক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার চাচাদের সঙ্গে জমি জমা নিয়ে বিরোধ আছে। আমার ক্রয় করা সম্পত্তিতে টিনের বেড়া দিয়েছি। আমার চাচাতো ভাইরা জোরপূর্বক আমাদের বাড়িতে এসে আমাকে মারপিট করে আহত করেছে। ভাঙ্গাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে মীমাংসার জন্য দুই পক্ষকে নিয়ে বসা হয়েছিল। পরে একটি রায় ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু হাজী মতিয়ার গংরা সেই সিদ্ধান্ত মানেনি। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বেলকুচি থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মজিবুল ইসলাম বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করে এসেছি। আমি উভয়পক্ষকে শান্তি রক্ষার্থে মীমাংসার জন্য বলেছি।