বিশ্বজমিন
পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিধস
মাটিচাপা পড়েছে ২০০০ মানুষ, অলৌকিকভাবে দম্পতি উদ্ধার
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ২৭ মে ২০২৪, সোমবার, ২:৫৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৬ পূর্বাহ্ন

ভূমিধসে শোকে স্তব্ধ পাপুয়া নিউগিনি। শুক্রবার সেখানে ভূমিধসে মাটিচাপা পড়া মানুষের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাত্র ৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, বাকিরা মাটির নিচে চাপা পড়ে আছেন। স্বভাবতই তাদের বেঁচে থাকার কথা নয়। এত মানুষ হারিয়ে যাওয়ায় তাদের যেসব আত্মীয়-স্বজন আছেন তাদের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। এসব মানুষকে শান্তনা দেয়ার কোনো ভাষা নেই কারো। সব মিলে পুরো পাপুয়া নিউগিনি শোকে কাঁদছে। কিন্তু অলৌকিক এক ঘটনা ঘটে গেছে সেখানে। মাটিচাপা পড়ার তিনদিন পর সেখান থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এক দম্পতিকে। তারা হলেন জনসন ও জ্যাকলিন ইয়ানদাম। ফলে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দেশটিতে স্থানীয়দের মাঝে একদিকে শোক, অন্যদিকে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এনবিসি’র স্থানীয় প্রতিনিধিকে জ্যাকলিন বলেছেন, আমরা এখনও বেঁচে আছি এজন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। এটা আমাদের জন্য বর্ণনা করা কঠিন যে কিভাবে মাটির নিচে বেঁচে ছিলাম। আসলে আমাদের বেঁচে থাকা সত্যিই ‘অলৌকিক’ ঘটনা। আমরা বিশ্বাস করি একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশে আমরা একত্রে বেঁচে ফিরেছি।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, রোববার দিবাগত রাত থেকে ভারী বর্ষণে দেশটির ইঙ্গা প্রদেশের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বৃষ্টির পানিতে আরও জনপদ মাটিতে ঢেকে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। এতে উদ্ধারকার্য ব্যাহত হচ্ছে বলেও জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর অবস্থা এতটাই দুর্গম হয়ে পড়েছে যে সেখানে উদ্ধার তৎপরতা বাড়াতে যেসকল ভারী যন্ত্রপাতি প্রয়োজন তা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। দুর্ঘটনাকবলিত অঞ্চলে পৌঁছানোর একমাত্র পথ হচ্ছে হেলিকপ্টার। কারণ সেখানের প্রধান সড়কগুলো ধসে পড়া মাটির চাপে ভেসে গেছে। গত শুক্রবার ভূমিধসের পর এ পর্যন্ত মাত্র ছয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কয়েকশো মানুষ মাটিচাপা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হলেও এখনকার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সে সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে সরকার। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
তবে এরমধ্যে সোমবার সকালে ওই দম্পতি জীবিত উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয়রা উদ্ধার তৎপরতায় জোর দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। স্থানীয় লোকজন দম্পতির কান্নার আওয়াজ শুনে পরে তাদের উদ্ধার করেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
পাঠকের মতামত
ভূমি ধস কেয়ামতের লক্ষন গুলোর একটি ।