ঢাকা, ২০ মে ২০২৪, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

দেশ বিদেশ

কর্মশালায় বক্তারা

টেকসই স্বাস্থ্য উন্নয়নে হেলথ প্রমোশন কর্মসূচি বাস্তবায়ন জরুরি

স্টাফ রিপোর্টার
১০ মে ২০২৪, শুক্রবার
mzamin

বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর প্রায় ৭০ শতাংশই ঘটে হার্টঅ্যাটাক, স্ট্রোক, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগে। তামাকপণ্যের ব্যবহার, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, কায়িক পরিশ্রমের অভাব, বায়ুদূষণ প্রভৃতিকে এর প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞগণ। হেলথ প্রমোশন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে এসব স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ এবং অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যু কমানো সম্ভব বলে মনে করেন তারা। গতকাল রাজধানীর বিএমএ ভবনে প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত ‘টেকসই স্বাস্থ্য উন্নয়নে হেলথ প্রমোশন: বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক সংবাদ কর্মশালায় এসব তথ্য ও সুপারিশ উঠে আসে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘স্বাস্থ্য’ কেবল নিরোগ থাকা নয় বরং শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে ভালো থাকার নামই ‘স্বাস্থ্য’। সাধারণভাবে স্বাস্থ্য উন্নয়ন, রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষা, চিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং উপশম এই পাঁচটিকে একত্রে ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থা’ বলা হলেও প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ‘স্বাস্থ্য’ বলতে কেবল ‘চিকিৎসা ব্যবস্থা’কে বোঝানো হয়ে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে হেলথ প্রমোশন একটি প্রক্রিয়া যার দ্বারা মানুষ নিজের স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যের নির্ধারকসমূহের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে এবং নিজ স্বাস্থ্যের উন্নতি লাভের সক্ষমতা অর্জন করতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম, খাবারে অতিরিক্ত চর্বি, লবণ ও চিনি পরিহার এবং তামাক ও অ্যালকোহল বর্জন প্রভৃতি কাজে উদ্বুদ্ধ করার পরিবেশ সৃষ্টি করা ‘হেলথ প্রমোশন’ কার্যক্রমের অংশ। তবে এই কাজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়।

বিজ্ঞাপন
এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার অংশগ্রহণে একটি সমন্বিত পদক্ষেপ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে সংস্থাটি। থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ১১টি দেশ ইতিমধ্যে হেলথ প্রমোশন কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি হ্রাসে সাফল্য দেখিয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ  বলেন, স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ থেকে বছরে প্রায় ৩শ’ কোটি টাকা আদায় হয়, যা স্বাস্থ্য উন্নয়নে খরচ করার কথা থাকলেও আমরা পারছি না। একটি স্বাধীন হেলথ প্রমোশন প্রতিষ্ঠান গঠন করে এই অর্থ স্বাস্থ্য উন্নয়নে ব্যয় করা গেলে জনগণ এবং সরকার উভয়েই লাভবান হবে। কর্মশালায় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. এনামুল হক বলেন, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা নানাবিধ হেলথ প্রমোশন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। তবে টেকসই স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য একটি সমন্বিত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে বাংলাদেশে চিকিৎসায় ব্যক্তির ব্যয় প্রায় ৭৪ শতাংশ, যার দুই-তৃতীয়াংশই খরচ হয় ওষুধে। হেলথ প্রমোশনের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হলে ব্যয় হ্রাসের পাশাপাশি জনগণের অসুস্থতা, মৃত্যু এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর চাপ কমে আসবে। এতে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স- আত্মা’র আহ্বায়ক মর্তুজা হায়দার লিটন, সহ-আহ্বায়ক নাদিরা কিরণ ও মিজান চৌধুরী এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। কর্মশালায় মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞা’র হেড অব প্রোগ্রামস হাসান শাহরিয়ার।
 

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status