সিরাজদিখানে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ওসিসহ আহত ১০, গ্রেফতার ১১

সিরাজদিখানের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষে ওসিসহ আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন।  এই ঘটনায় ১১ জন  গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ । সোমবার রাত ৮টায় উপজেলার কুচিয়ামোড়া এলাকায় ঘটে এই ঘটনা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, সন্ধ্যার দিকে আশরাফ চেয়ারম্যান গ্রুপের লোকজনের নেতৃত্বে হামলায় বারেক চেয়ারম্যান গ্রুপের রাকিব বেপারী (২৭) ও দেলোয়ার (৩৬) আহত হয়। পরবর্তীতে বারেক চেয়ারম্যান গ্রুপের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাজাহান ভূইয়ার ওপর হামলা চালায়। বর্তমানে রাকিব ও শাজাহান ভূইয়ার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত বারেক চেয়ারম্যান গ্রুপের লোকজনের সাথে থানা পুলিশের বাক বিতন্ডার  একপর্যায়ে পুলিশের উপর হামলা করলে সিরাজদিখান থানার ওসি সহ আহত হয় অন্তত ৮ জন পুলিশ সদস্য। এতে বারেক সহ তার দলের  ১১ জনকে  আটক করে আদালতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ। 
কেয়ারইন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফ আলী বলেন, এটা কোন গ্রুপিং দ্বন্দ্ব না। আমার ছেলে আসিফ আসরের নামাজের পর মাঠে খেলছিল তখন রাকিব ওর পায়ের উপর দিয়ে মোটরসাইকেলের তুলে দেয়। এ নিয়ে মাঠে একটা মারামারি হয় পরবর্তীতে বারেক চেয়ারম্যানের লোকজন আমাদের লোককে মারধর করে। পুলিশ এসে তাদেরকে বাধা দিলে তারা পুলিশকে মারধর করে। 
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ৩৩ জন এজাহার নামীয়  আসামির মধ্যে ১১ জন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

অন্যান্য আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। 
সিরাজদিখান সার্কেলের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: তোফায়েল হোসেন সরকার জানান, আশরাফ গ্রুপ ও বারেক গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মুজাহিদুল ইসলাম ও তার টিম যখন বারেক গ্রুপের মুখোমুখি হলে তারা ওসি ও তার টিমের উপর হামলা করে এবং ওসির মাথায় লাঠি দিয়ে একাধিক আঘাত করে। পরবর্তীতে পুলিশের অন্যান্য টিমের লোকজন এসে বারেকসহ একাধিক আসামি গ্রেফতার করা হয়।