অনলাইন
বহিরাগতদের অস্ত্রাগার দেখিয়ে ফেসবুকে লাইভ করায় পুলিশ সুপারকে অবসর
অনলাইন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:০০ অপরাহ্ন
বহিরাগতদের অস্ত্রাগার দেখানো এবং সেখান থেকে ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় খুলনা রেঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ শাহেদ ফেরদৌস রানাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়েছে। গত ৯ই এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বিসিএস পুলিশের ২৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা শাহেদ ফেরদৌস ২০০৬ সালের ২১শে আগস্ট পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। তিনি চাঁদপুরের স্থায়ী বাসিন্দা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ২৯শে আগস্ট ঢাকায় স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোটেকশন ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তিন বহিরাগতকে অস্ত্রাগার পরিদর্শন করানো, অস্ত্রের বর্ণনা দিয়ে ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ দিয়েছিলেন খুলনার রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের পুলিশ সুপার শাহেদ ফেরদৌস রানা। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন পুলিশ পরিদর্শক (সশস্ত্র) গোলাম মোস্তফা, পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সৈয়দ আনিসুর রহমান, এসআই (নিরস্ত্র) নুর-এ-সরোয়ার রিপন, এসআই (সশস্ত্র) আবু সাঈদ মো. ওবাইদুর রহমান এবং এসআই (সশস্ত্র) মানিক খান।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, পরবর্তীকালে শাহেদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়। পরে তার বিরুদ্ধে রুজু করা বিভাগীয় মামলায় উপস্থাপিত ভিডিওটি সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়। এরপর সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য বলা হয়। গত ২৪শে আগস্ট সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের পাঠানো প্রতিবেদনে উপস্থাপিত ভিডিওটি সম্পাদনা করা হয়নি অর্থাৎ প্রকৃত মর্মে মতামত দেয়া হয়।
অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গুরুদণ্ড হিসেবে শাহেদ ফেরদৌসকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’-এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ চাওয়া হয়। গত ১লা জানুয়ারি সরকারি কর্ম কমিশন বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানের দণ্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার পরামর্শ দেয়। এরপর তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
।পূর্বে ল্যাটিন আমেরিকা ও আফ্রিকায় বানানা রিপাবলিকের কথা শুনা যেত। পরম সৌভাগ্য আমাদের এখন বাংলাদেশও একটি বানানা রিপাবলিক হয়ে গেছে। তা না হলে এমন তাজ্জব ঘটনা ঘটে কি করে এবং অবসর দানেই ক্ষান্ত চৌকস কর্তৃপক্ষ।
এখানে বহিরাগত কারা ছিল বা বহিরাগতদের ব্যাকগ্রাউন্ড কি ছিল, তার অস্ত্রাগার দেখানোর ব্যাকগ্রাউন্ড কি ছিল সেই সম্পর্কে কিছু বলা হয় নাই বিধায় এই পুরো প্রক্রিয়াটা পাঠকের কাছে পরিস্কার না। যাই হোক, ওই পুলিশের ওইটা ফেস বুকে দেখানো উচিত হয় নাই। এটা তার একটা বড় ভুলই হয়েছে। তবে তা চাকুরি চলে যাবার মত ভয়ানক বা গুরুতর কোনো বড় অপরাধ কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়। কারণ অনিচ্ছাকৃত ভুলকে মানুষ ক্ষমার চোখে দেখতে চায় (যদি তার জন্য খুব বড় কোনো বিপত্তি ইতিমধ্যেই না ঘটে থাকে)। সেটা নিয়ে আরও বিচার বিবেচনা করা যেতে পারে বলে পাঠক মনে করে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন পদের থেকে অনেকেই যেভাবে একের পর এক ভারতের জয়গান, ভারতের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া সহ যেভাবে ভিন্ন একটা দেশের আনুগত্য প্রকাশ করে বা করছে সেটা তো কোনো অংশেই এর চেয়ে ছোট কোনো দোষের কাজ না। সুক্ষ্মবিচারে ওগুলোকে অনেক দিক থেকেই দেশ বিরোধীতা বা নুন্যতম শাস্তিওযোগ্য'এর ফেলা যায়। দেখি নাই তো এজন্য ওগুলো নিয়ে কারো কোনো শাস্তি হয়েছে? তবে এখানে ওই পুলিশের গুরুদন্ড কেন? এর পিছনে কি অন্য কোনো কারণ আছে?